গাজায় শান্তিরক্ষী পাঠাতে প্রস্তুত ইন্দোনেশিয়া: প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় শান্তিরক্ষী পাঠাতে প্রস্তুত ইন্দোনেশিয়া। এমনটাই জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো সুবিয়ান্তো।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তিনি বলেন, গাজার ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে তার দেশ শান্তিরক্ষী পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ভাষণে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা গাজার চলমান অসহনীয় ট্র্যাজেডির কথা স্মরণ করছি। হাজারো নিরপরাধ মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। দুর্ভিক্ষ আর ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। মানবিক বিপর্যয় আমাদের চোখের সামনেই ঘটছে। আমরা নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানাই।”

প্রাবোয়ো আরও জানান, ইন্দোনেশিয়া আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় অংশ নিতে আগ্রহী। তিনি বলেন, “আমরা শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে প্রস্তুত”। একই সঙ্গে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি তার দেশের প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

স্বীকৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ইসরায়েল যদি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয় এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকে মেনে নেয় তাহলে ইন্দোনেশিয়া সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েল রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে এবং তার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা সমর্থন করবে।”

তিনি আরও বলেন, “ফিলিস্তিন ইস্যুতে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার— আমরা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”। এসময় প্রাবোয়ো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ঠেকানোর আহ্বান জানান।

এদিকে জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির ধারা আরও গতিশীল হয়েছে। এর একদিন আগে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার মতো দেশগুলোর সঙ্গে যোগ দিয়ে যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে এ পদক্ষেপের কড়া বিরোধিতা করেছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র।

রোববার প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, “এটি হামাসকে পুরস্কৃত করার কোনো পদক্ষেপ নয়। দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান পুনরুজ্জীবিত করার জন্য এই স্বীকৃতি জরুরি।”

সম্প্রতি ফ্রান্স, বেলজিয়াম, মাল্টা ও লুক্সেমবার্গসহ একাধিক ইউরোপীয় দেশও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা ইসরায়েলের দশকের পর দশকের দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ইএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ঘন কুয়াশায় ঢাকায় নামতে না পেরে কলকাতায় ৫ ফ্লাইটের অবতরণ Dec 26, 2025
img
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ‘হাঁস’ প্রতীক চাইবেন রুমিন ফারহানা Dec 26, 2025
img
হাদি হত্যার বিচার দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ আজ Dec 26, 2025
img
মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে নিহত সংখ্যা বেড়ে ৮ Dec 26, 2025
img
কারিনা কাপুর আমার স্ত্রী ছিলেন বলে দাবি ‘মুফতি’ কাভির Dec 26, 2025
img
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপি ও তারেক রহমান দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : জাহেদ উর রহমান Dec 26, 2025
img
‘টাকার অভাবে’ নির্বাচন করতে পারছে না ইউক্রেন, দাবি জেলেনস্কির উপদেষ্টার Dec 26, 2025
img
অস্ট্রেলিয়াকে ১৫২ রানে গুটিয়ে দিয়ে ব্যাটিংয়ের চাপে ইংল্যান্ড Dec 26, 2025
img
জুমার নামাজের পরই বাবার সমাধিতে যাবেন তারেক রহমান Dec 26, 2025
img
‘বেবি কৌশল’কে কোলে নিয়ে কেমন ক্রিসমাস কাটল ভিকি-ক্যাটরিনার? Dec 26, 2025
img
মেক্সিকোতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১০, আহত আরো ৩২ Dec 26, 2025
img
মনটা দেশে পড়ে থাকে: কেয়া পায়েল Dec 26, 2025
img
নৌযানসমূহকে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ আবহাওয়া অধিদপ্তরের Dec 26, 2025
img
পোস্টাল ভোট বিডিতে মোট নিবন্ধন ৭ লাখ ৫৪ হাজার Dec 26, 2025
তারেক রহমানকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত পরিমনি Dec 26, 2025
img
ভারত বিরোধীতার কারণে বাংলাদেশিদের কাছে হোটেল ভাড়া না দেওয়ার ঘোষণা শিলিগুড়ির ব্যবসায়ীদের Dec 26, 2025
img
ট্রাম্পকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানালেন পুতিন Dec 26, 2025
img
জন্মদিনে শুভশ্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের মান-অভিমানের কি অবসান হলো? Dec 26, 2025
img
নির্বাচন আয়োজনের মধ্যেই সামরিক অভিযান জোরদার করল জান্তা সরকার Dec 26, 2025
img
বিয়ে করলেন ডাকসু নেত্রী সেই তন্বী, পাত্রের পরিচয় কী? Dec 26, 2025