ইউক্রেন নিয়ে আবারও ট্রাম্পের অবস্থান পরিবর্তন

২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক সিটিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বক্তব্য রাখছেন। 

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে কিয়েভ তার ‘মূল সীমান্ত’ ফিরে পেতে সক্ষম হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটিকে তার পূর্ববর্তী অবস্থান থেকে বড় ধরনের পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার পর নিউইয়র্কে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে বলেন, ইউরোপ ও ন্যাটোর সহায়তায় ইউক্রেন তার মূল সীমান্ত ফিরে পেতে পারে। রাশিয়ার অর্থনীতি এখন ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছে।

ট্রাম্প লিখেছেন, “পুতিন ও রাশিয়া এখন বড় অর্থনৈতিক সমস্যায় রয়েছে। এটাই ইউক্রেনের পদক্ষেপ নেওয়ার সময়। রাশিয়া আসলে ‘কাগুজে বাঘ’।’’ খবর বিবিসির।

ট্রাম্পের অবস্থানের পরিবর্তনকে “বড় অগ্রগতি” আখ্যা দিয়ে জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধ শেষে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। যদিও এর বিস্তারিত এখনও ঠিক হয়নি।

পরে ফক্স নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য তাকে বিস্মিত করেছে, তবে তিনি এটিকে ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখছেন।

সম্প্রতি এস্তোনিয়া, পোল্যান্ড ও রোমানিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ও ড্রোন প্রবেশের অভিযোগে উত্তেজনা বেড়েছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার ন্যাটো জরুরি বৈঠক শেষে সতর্ক করে বলেছে, “প্রয়োজনে সব ধরনের সামরিক ও অসামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে বলেন, “আমরা প্রতিরক্ষামূলক জোট হলেও সরল নই। আমরা পরিস্থিতি স্পষ্টভাবেই দেখছি।”

এ বছর শুরুর দিকে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউক্রেন বড় ও জনবহুল রাশিয়ার বিরুদ্ধে টিকে থাকতে পারবে না। এমনকি দনেস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাবও আলোচনায় আসে। তবে এবার তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোকে অস্ত্র বিক্রি অব্যাহত রাখবে, যা ইউক্রেনের হাতে পৌঁছাতে পারে।

এমকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বন্ধুত্ব তখনই হয়, যখন নিজেদের মধ্যে সম্পর্কটা মধুর হয়ে ওঠে : মিঠুন চক্রবর্তী Nov 11, 2025
img
'টেস্ট অব চেরি' অভিনেতা হোমায়ুন এরশাদি আর নেই Nov 11, 2025
img
পুরো ক্যারিয়ার বার্সেলোনায় খেলার স্বপ্ন দেখেছিলাম: লিওনেল মেসি Nov 11, 2025
img
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলবে অ্যাঙ্গোলা Nov 11, 2025
img
ড. ইউনূস ‘যদি-কিন্তু’ ছাড়া কথা বলেন না : এম এ আজিজ Nov 11, 2025
img
এই সরকার এনজিও সরকার, অভিজ্ঞতা নেই : নিলোফার চৌধুরী মনি Nov 11, 2025
img
বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল উগান্ডা Nov 11, 2025
img
আইভীকে আরও তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন দায়ের Nov 11, 2025
img
হাটহাজারীতে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার Nov 11, 2025
img
মামুন হত্যার ঘটনায় পুরান ঢাকায় ২ শুটার পুলিশ হেফাজতে Nov 11, 2025
img
মুশফিকের রেকর্ড ভেঙে শীর্ষে লিটন Nov 11, 2025
img
তাসকিন-সাইফের সঙ্গে চুক্তি করল ঢাকা Nov 11, 2025
img
ঢাকার পথে সমিত সোম, নেপাল ম্যাচেই নামবেন মাঠে Nov 11, 2025
img
মেহেদী হাসান মিরাজের খেলায় মুগ্ধ আয়ারল্যান্ড কোচ Nov 11, 2025
img
দেশে প্রতিবছর প্রায় ১ শতাংশ হারে আবাদযোগ্য জমি হ্রাস পাচ্ছে : রিজওয়ানা Nov 11, 2025
img
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের কঠোর বার্তা দিলেন সিএমপি কমিশনার Nov 11, 2025
img
ট্রেন থেকে পড়ে চট্টগ্রামে রেল কর্মকর্তা আহত Nov 11, 2025
img
নবাগতদের শ্রেয়া ঘোষালের গান শোনার পরামর্শ নোরা ফাতেহির Nov 11, 2025
img
শিশুর প্রাণরক্ষার অস্ত্রোপচার কখনো থেমে থাকবে না: সুরকার মিথুন Nov 11, 2025
img
ডাল, ভাত ও মাছের ঝোলেই শান্তি খুঁজে পান ঋত্বিক চক্রবর্তী Nov 11, 2025