ইউক্রেন নিয়ে অবস্থান পরিবর্তন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে ইউক্রেন রাশিয়ার দখলে থাকা সমস্ত ভূমি পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং মস্কো যখন বড় অর্থনৈতিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, তখন কিয়েভের এখনই পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে জেলেনস্কির সাথে দেখা করার পরপরই ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, পুতিন এবং রাশিয়া বিরাট অর্থনৈতিক সংকটে আছে। ইউক্রেনের এখনই পদক্ষেপ নেয়ার সময়।
ট্রাম্প আরও বলেন, রাশিয়ার অর্থনৈতিক সমস্যা (যুদ্ধ) দেখার পর, আমি মনে করি ইউক্রেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থনে, যুদ্ধ করার এবং পুরো ইউক্রেনকে তার আসল রূপে ফিরিয়ে আনার অবস্থানে রয়েছে।
এর ফলে ইউক্রেনকে তার ২০ শতাংশ ভূখণ্ড থেকে রাশিয়ান বাহিনীকে বহিষ্কার করতে হবে। যার মধ্যে ২০১৪ সাল থেকে মস্কোর দখলে থাকা ক্রিমিয়ান উপদ্বীপও অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা হবে এক অসাধারণ পরিবর্তন।
এর আগে ট্রাম্প পরামর্শ দিয়েছিলেন, কিয়েভকে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের ভূখণ্ড ছেড়ে দেয়ার কথা বিবেচনা করা উচিত। যা ইউক্রেনীয়দের ভয়কে আরও বাড়িয়ে তোলে যে, একটি চুক্তির জন্য পর্দার আড়ালে যা আলোচনা হবে তাতে দখলকৃত ভূমিকে আইনত রাশিয়ার হাতে তুলে দেয়া হতে পারে।
এদিকে, ইউরোপের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান কাজা ক্যালাস ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রশংসা করে বলেছেন; এগুলো খুবই জোরালো বক্তব্য যা আমরা আগে কখনও এই ধরনের ফর্ম্যাটে শুনিনি। তাই এখন আমরাও তাই মনে করি যে, এটা সত্যিই ভালো।
জেলেনস্কি এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাম্পের সাথে তার ভালো, গঠনমূলক বৈঠক হয়েছে। তিনি বিস্তারিত বলতে অস্বীকৃতি জানান। একই সাথে ট্রুথ সোশ্যাল সম্পর্কে ট্রাম্পের বক্তব্যকে বড় পরিবর্তন বলে প্রশংসা করেন।
পরে জেলেনস্কি ফক্স নিউজকে বলেন, তিনি মনে করেন ইউক্রেনীয় এবং মার্কিন দলের অবস্থান আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও ঘনিষ্ঠ।
গত মাসে আলাস্কায় এক শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের লাল-গালিচা সংবর্ধনা এবং রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র এত দিনের মিত্রতার সাথে ট্রাম্পের এই বক্তব্যের কোনো মিল নেই বরং পুরোপুরি বিপরীত।
যদিও রয়টার্স বলছে, ট্রাম্পের কথার সাথে মার্কিন নীতির পরিবর্তনের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। কারণ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যখন এই সপ্তাহে নিউইয়র্কে ছিলেন তখন তিনি চেয়েছিলেন ট্রাম্প মস্কোর উপর নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুক।
পিএ/এসএন