যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন নিউইয়র্কে অবস্থানরত বা সফররত ইরানি কূটনীতিকদের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে তারা কস্টকো-এর মতো পাইকারি দোকান বা যুক্তরাষ্ট্রে বিলাসবহুল পণ্য কেনাকাটা করতে পারবেন না, যদি না মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বিশেষ অনুমতি নেন।
আল-অ্যারাবিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমুখপাত্র টমি পিগট এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ইরানের ধর্মীয় নেতৃত্বের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ সৃষ্টি করা। তিনি অভিযোগ করেন, সাধারণ ইরানিরা যখন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে, তখন তাদের নেতারা বিদেশে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন।
এই নিষেধাজ্ঞার অধীনে, ইরানি প্রতিনিধিরা এখন শুধু হোটেল থেকে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের নির্ধারিত সরকারি রুটেই চলাচল করতে পারবেন। এর আগে তারা জাতিসংঘের অফিস, ইরানি মিশন, রাষ্ট্রদূতের বাসভবন এবং জন এফ. কেনেডি বিমানবন্দরের মধ্যেও যাতায়াত করতে পারতেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর নির্দেশে এই নতুন নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে।
পিগট আরও বলেন, "আমেরিকানদের নিরাপত্তা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমরা ইরানি শাসকগোষ্ঠীকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদকে তার সন্ত্রাসী এজেন্ডা চালানোর সুযোগ বা জনগণকে বঞ্চিত করে বিলাসিতা উপভোগের সুযোগ দেব না।" তিনি দাবি করেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের জনগণের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
এমকে/এসএন