৫৭ শতাংশেরও বেশি মানুষ বলছেন প্রথমে আইন-শৃঙ্খলা তারপর বাকিগুলো: জিল্লুর রহমান

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘পিপলস ইলেকশন পালসের দ্বিতীয় দফার যে চিত্রটা সামনে এলো সেখানে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ৫৭ শতাংশেরও বেশি মানুষ বলছেন প্রথমে আইন-শৃঙ্খলা তারপর বাকিগুলো। একসময় যা ছিল উল্টো। মার্চে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ছিল নাম্বার ওয়ান সেটা এখন দু নম্বরে নেমেছে কিন্তু হারায়নি।


সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন তিনি।

জিল্লুর রহমান বলেন, ‘জরিপ বলছে প্রতীক বা ইশতেহার নয় যোগ্যতার প্রশ্নে ভোটাররা এখন সবচেয়ে বেশি একমত। ৬৫ শতাংশ মানুষ বলছেন দেখি প্রার্থীটা কে? কী করতে পারে? রাজনীতির পুরনো ম্যাজিক, স্লোগান, প্রতীক এসব নিয়ে আর মানুষকে টানা যাবে না। যিনি দাঁড়াবেন তিনি কী করবেন, কীভাবে করবেন, কতদিনের মধ্যে করবেন, এখন মানুষ জবাব চায়।

এটা রাজনীতির জন্য ভয়ানক চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে দুর্দান্ত সুযোগও যোগ্য মানুষকে সামনে আনার। দলের ভেতরকার গণতন্ত্র ফেরাবার। টিকেট কেনাবাচার বাজার বন্ধ করার।

তিনি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা উঠে এসেছে শীর্ষে এর কারণগুলো খোলাসা করা দরকার। প্রথমত অপরাধ আর শৃঙ্খলা ভঙ্গের প্রতিদিনকার অভিজ্ঞতা। দ্বিতীয়ত মাদক, কিশোর গ্যাং, ছিনতাই, স্থানিয় ক্ষমতা দখল, উশৃঙ্খল রাজনীতি, বিচার প্রাপ্তির সংকট। তৃতীয়ত প্রশাসনিক রাজনীতিকরণ। পুলিশ থেকে ভূমি অফিস সব জায়গাতেই লেনদেনের গন্ধ।

চতুর্থত গণনিরাপত্তার শূন্যতায় ভিকটিম, ব্লেমিং আর সামাজিক ভীতি যা নারী শিশুর জন্য দ্বিগুণ। ফলে মানুষ ভাবছে আইন-শৃঙ্খলা ঠিক হোক তারপর বাকি সব।’ 

জিল্লুর আরো বলেন, ‘যদি রাস্তায় দাঁড়িয়ে যেকোনো ১০ জনকে জিজ্ঞেস করেন আপনার সবচেয়ে বড় চিন্তা কী? উত্তরটা এক লাইনে পাওয়া যায়, বেঁচে থাকা। এই বেঁচে থাকার ভেতরেই গাদাগাদি করে আছে আইন-শৃঙ্খলার ভয়। রাতে বাসায় ফেরার পথে উৎকণ্ঠা। সন্তানের স্কুলের সামনে কিশোর গ্যাং এর খবর। ওষুধের বিল, বাজারের থলির ওজন আর মোটা অঙ্কের কখনো প্রকাশ্য কখনো নীরব ঘুষের চাপ।’

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে আলোচিত বেগম জিয়ার মৃত্যুর খবর Dec 30, 2025
img
বুধবার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে খালেদা জিয়ার জানাজা হতে পারে Dec 30, 2025
img
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্ট Dec 30, 2025
img
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৭ দিনব্যাপী শোক পালন করবে বিএনপি Dec 30, 2025
img
এই জাতি আপনাকে সর্বদা গর্বের সঙ্গে স্মরণ করবে: আশফাক নিপুন Dec 30, 2025
img
রাজধানীতে মাঝারি কুয়াশা, ঠান্ডা অব্যাহত Dec 30, 2025
img
সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় দরকার টেকসই পরিকল্পনা: পরিকল্পনা সচিব Dec 30, 2025
img
খালেদা জিয়ার জানাজার সময় নিয়ে বিএনপির বার্তা Dec 30, 2025
img
১৫ দিনে ১৫ কোটি টিকিটের আবেদন পেল ফিফা Dec 30, 2025
img
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীকের বিদায় : বান্নাহ Dec 30, 2025
img
খালেদা জিয়া ছিলেন আমাদের প্রতিরোধের প্রতীক: প্রেস সচিব Dec 30, 2025
img
সাবেক আ. লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে আটক ২ Dec 30, 2025
img
এখন এফডিসির দিকে তাকাই না : ডলি জহুর Dec 30, 2025
img
নির্বাচনের মাঠে অপরাজেয় বেগম খালেদা জিয়া Dec 30, 2025
img
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি Dec 30, 2025
img
খালেদা জিয়া ভোর ৬টায় মৃত্যুবরণ করেন: ডা. জাহিদ Dec 30, 2025
img
মৃত ঘোষণার সময় বেগম জিয়ার পাশে তারেক রহমানসহ দলের বিশ্বস্ত মুখগুলো Dec 30, 2025
img
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জামায়াত আমিরের শোক Dec 30, 2025
img
জকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু সকাল সাড়ে ৮টায় Dec 30, 2025
img
৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও দাখিলকারীর সংখ্যা জানাল ইসি Dec 30, 2025