সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) অপসারিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের পরিচালক (মানিলন্ডারিং) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু প্রাপ্ত তথ্যের ভিতিতে অনুসন্ধান করিয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মাইয়াছে যে, আপনি আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক মেয়র, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, সিলেট, পিতা: নওশামিয়া চৌধুরী, বর্তমান ঠিকানা মোহনা এ-৫৬/৯ পাঠানটুলা, ডাকঘর, সিলেট সদর-৩১০০, স্থায়ী ঠিকানা- গ্রাম, পশ্চিম তিলপাড়া, পোষ্ট- মুক্তার পাড়া, উপজেলা বালাগঞ্জ, জেলা, সিলেট; আপনার জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত ও স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হইয়াছেন।
সেহেতু, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ৫নং আইন) এর ধারা ২৬ এর উপধারা (১) এর অর্পিত ক্ষমতাবলে আপনি আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে আপনার নিজের, আপনার স্ত্রী, আপনার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়দেনা, আয়ের উৎস ও উহা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী অত্র আদেশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে এতদসঙ্গে প্রেরিত ছকে নিম্নস্বাক্ষরকারীর বরাবরে দাখিল করিতে নির্দেশ দেওয়া যাইতেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করিতে ব্যর্থ হইলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করিলে উপরিউক্ত আইনের ধারা ২৬ এর উপ-ধারা (২) মোতাবেক আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়রকে তার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। তাই দৃশ্যমান স্থানে নোটিশ টানানো হয়েছে। সময়মতো বিবরণী জমা না দিলে বা মিথ্যা তথ্য দিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউটি/টিএ