বিদেশ থেকে সেনাদের ডেকে এনে ‘মোটা’ বললেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী!

যুক্তরাষ্ট্রের ‘মোটা জেনারেল’ এবং আগের অনেক উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। তার মতে, এসব জিনিস সামরিক বাহিনীকে কয়েক দশক ধরে অবক্ষয়ের দিকে পরিচালিত করেছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কমান্ডারদের এক ‘বিরল’ সমাবেশে হেগসেথ বলেছেন, মার্কিন সেনা কর্মকর্তারা যদি তার এজেন্ডা সমর্থন না করেন, তবে তাদের পদত্যাগ করা উচিত। খবর রয়টার্সের।

ভার্জিনিয়ার কোয়ান্টিকোতে অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি বলেন, ‘বোকা এবং বেপরোয়া রাজনৈতিক নেতারা ভুল দিকনির্দেশনা স্থাপন করেছিল এবং আমরা আমাদের পথ হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু আর নয়।’

বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে তলব করা যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জেনারেল এবং অ্যাডমিরালদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখার সময় হেগসেথ এর আগে কয়েকজন অফিসারকে বরখাস্তের পক্ষে তার যুক্তি তুলে ধরেন। এই তালিকায় ছিলেন শীর্ষ মার্কিন জেনারেল, যিনি একজন কৃষ্ণাঙ্গ এবং নৌবাহিনীর শীর্ষ অ্যাডমিরাল, যিনি একজন নারী। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, তিনি যে অফিসারদের বরখাস্ত করেছেন তারা একটি ‘ভাঙা সংস্কৃতির অংশ’।

‘অতিরিক্ত ওজনের’ সৈন্যদের চেহারার সমালোচনা করে হেগসেথ বলেছেন, 
পেন্টাগনের হলগুলোতে মোটা জেনারেল এবং অ্যাডমিরালদের দেখা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।

তিনি বলেন, সমস্ত ফিটনেস পরীক্ষা শুধুমাত্র পুরুষদের মানদণ্ডের ওপর নির্ভর করবে এবং গ্রুমিং স্ট্যান্ডার্ডের গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।

এসময় নীরব বসে থাকা সেনা সদস্যদের উদ্দেশে পিট হেগসেথ বলেন, ‘অপেশাদার চেহারার যুগ শেষ। আর দাড়িওয়ালা (সেনা) চলবে না।’

এদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বক্তৃতা শুরু করেছেন এই হুমকি দিয়ে যে, যারা তার সাথে একমত নন তাদের বরখাস্ত করা হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আপনারা (সেনারা) যা খুশি তাই করতে পারেন।’ 

‘আর যদি আমার কথা পছন্দ না হয়, তাহলে আপনারা রুম থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন, কারণ সেখানেই আপনাদের পদমর্যাদা, সেখানেই আপনাদের ভবিষ্যৎ’, যোগ করেন ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার বক্তৃতার পরবর্তী কয়েক মিনিট প্রতিরক্ষা বিভাগের নাম পরিবর্তন করে যুদ্ধ বিভাগ রাখার সিদ্ধান্তের ওপর আলোকপাত করেন। তার দাবি, এই পরিবর্তনটি ‘খুব জনপ্রিয়’ হয়েছে।

ইউটি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কুমিল্লায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৪৪ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ Nov 16, 2025
img
পুলিশকে কামড়ে পালিয়েছেন ছাত্রদল নেতা Nov 16, 2025
img
শেখ হাসিনার রায় আগামীকাল, সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি Nov 16, 2025
img

বাংলাদেশ দূতাবাস, মানামা

বাহরাইন প্রবাসীদের জন্য বিশেষ সচেতনতামূলক মোবাইল কনস্যুলার ক্যাম্পের আয়োজন Nov 16, 2025
img
ভোটারদের কেন্দ্রে আনা ও নিরাপদ নির্বাচনি পরিবেশের জন্য দলগুলোর সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ: সিইসি Nov 16, 2025
img
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে সবুজায়ন করবে ডিএনসিসি Nov 16, 2025
img
১৫০ কিমি গতিতে বোলিং করতে পারি: শাহীন আফ্রিদি Nov 16, 2025
img
বাংলাদেশ এক পা এগোলে, পাকিস্তান দুই পা এগিয়ে আসবে: মাওলানা ফজলুর Nov 16, 2025
img
যুক্তরাজ্যে স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতে সময় লাগবে ২০ বছর! Nov 16, 2025
img
যারা একসময় মজলুম ছিল, তারা এখন জালিম সাজছে: তথ্য উপদেষ্টা Nov 16, 2025
img
মিঠুনদা আমার বাবার মতো: দেব Nov 16, 2025
img
নিজের প্রতি বিশ্বাসই শাহরুখকে কিং করেছে: শিল্পা শেট্টি Nov 16, 2025
img
ইরান ভয়াবহ সংকটে, মসজিদে দোয়া Nov 16, 2025
img
রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ককটেল বিস্ফোরণে পথচারী আহত Nov 16, 2025
img
অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি Nov 16, 2025
img
বৈষম্য দূর করতে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ: সেলিমা রহমান Nov 16, 2025
img

জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬টি দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ শুরু Nov 16, 2025
img

মো. ফখরুল ইসলাম

‘তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নোয়াখালী হবে সিঙ্গাপুর’ Nov 16, 2025
img
সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে মধ্যরাতে আগুন Nov 16, 2025
img
স্কুলের গুরুত্ব তখনই বোঝা যায়, যখন আমরা স্কুল থেকে বেরিয়ে আসি: সোনাক্ষী সিনহা Nov 16, 2025