আত্মসমর্পণ আমাদের স্বভাবে নেই : ইরানের প্রেসিডেন্ট

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান বিদেশি চাপের মুখে দেশের দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইরান কখনো জোরজবর দস্তিতে মাথা নত করবে না।

মঙ্গলবার ক্রোয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয়ী ফ্রিস্টাইল ও গ্রিকো-রোমান কুস্তি দলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। পেজেশকিয়ান তরুণ প্রজন্মের সামনে কুস্তিগিরদের একটি আদর্শ হিসেবে উল্লেখ করেন।

“আপনারা আপনার আচরণ ও চরিত্রের মাধ্যমে তরুণদের জন্য আদর্শ হয়ে উঠতে পারেন,” বলেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, “চ্যালেঞ্জ যতই বাড়ুক, ইরান তার সংকল্পে অটল রয়েছে।”

“বিশ্ব আমাদের আত্মসমর্পণ করাতে চাচ্ছে, কিন্তু আত্মসমর্পণ আমাদের স্বভাব নয়। আমরা শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ইরানের জন্য দাঁড়িয়ে থাকব এবং কখনো মাথানত করব না।”

তিনি ইরানের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও বিভিন্ন বিধিনিষেধের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, “আমাদের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা ও সম্ভাবনার ওপর নির্ভর করলেই আমরা অবশ্যই আমাদের লক্ষ্য অর্জন করব।”

সোমবার আরেক বক্তব্যে পেজেশকিয়ান বলেন, “শত্রুরা আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায়, কারণ আমরা মাথা নত করি না, অপমান মেনে নিই না।” তিনি আরও বলেন, “তারা চায় আমরা অধঃপতিত ও নিচ লোকদের কাছে মাথা ঝোকাই, কিন্তু সেটা কল্পনাও আমার মাথায় আসে না। ইরান ও আমাদের জনগণকে হাঁটু গেড়ে বসানো কেবলই এক মায়াবী কল্পনা।”

গত মাসে ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানি—২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির আওতায় প্রত্যাহার করা জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাগুলো আবার চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করে। তারা অভিযোগ করে, তেহরান চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে—যদিও যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে ওই চুক্তি থেকে সরে গিয়েছিল এবং এর শর্ত ভঙ্গ করেছিল।

চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানের ওপর পুরনো নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বহাল করে। এর মাত্র দুদিন আগে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা চীন ও রাশিয়ার দাখিল করা একটি খসড়া প্রস্তাব ভেটো দেয়।

ইরান জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের জবাবে তারা পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।

সূত্র: প্রেস টিভি

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কুমিল্লায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৪৪ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ Nov 16, 2025
img
পুলিশকে কামড়ে পালিয়েছেন ছাত্রদল নেতা Nov 16, 2025
img
শেখ হাসিনার রায় আগামীকাল, সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি Nov 16, 2025
img

বাংলাদেশ দূতাবাস, মানামা

বাহরাইন প্রবাসীদের জন্য বিশেষ সচেতনতামূলক মোবাইল কনস্যুলার ক্যাম্পের আয়োজন Nov 16, 2025
img
ভোটারদের কেন্দ্রে আনা ও নিরাপদ নির্বাচনি পরিবেশের জন্য দলগুলোর সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ: সিইসি Nov 16, 2025
img
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে সবুজায়ন করবে ডিএনসিসি Nov 16, 2025
img
১৫০ কিমি গতিতে বোলিং করতে পারি: শাহীন আফ্রিদি Nov 16, 2025
img
বাংলাদেশ এক পা এগোলে, পাকিস্তান দুই পা এগিয়ে আসবে: মাওলানা ফজলুর Nov 16, 2025
img
যুক্তরাজ্যে স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতে সময় লাগবে ২০ বছর! Nov 16, 2025
img
যারা একসময় মজলুম ছিল, তারা এখন জালিম সাজছে: তথ্য উপদেষ্টা Nov 16, 2025
img
মিঠুনদা আমার বাবার মতো: দেব Nov 16, 2025
img
নিজের প্রতি বিশ্বাসই শাহরুখকে কিং করেছে: শিল্পা শেট্টি Nov 16, 2025
img
ইরান ভয়াবহ সংকটে, মসজিদে দোয়া Nov 16, 2025
img
রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ককটেল বিস্ফোরণে পথচারী আহত Nov 16, 2025
img
অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি Nov 16, 2025
img
বৈষম্য দূর করতে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ: সেলিমা রহমান Nov 16, 2025
img

জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬টি দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ শুরু Nov 16, 2025
img

মো. ফখরুল ইসলাম

‘তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নোয়াখালী হবে সিঙ্গাপুর’ Nov 16, 2025
img
সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে মধ্যরাতে আগুন Nov 16, 2025
img
স্কুলের গুরুত্ব তখনই বোঝা যায়, যখন আমরা স্কুল থেকে বেরিয়ে আসি: সোনাক্ষী সিনহা Nov 16, 2025