শফিক সাহেবের কারণে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনেক ক্ষতি হয়েছে : রনি

সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ‘এ যাবৎকালে শফিক সাহেবের কারণে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশে এই সরকারের আমলে অনেক মব সন্ত্রাস হয়েছে। সব মব রুট ওভার করে যদি ওইগুলো আরো বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তাহলে যে ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা হবে তার চেয়ে ওই ভদ্রলোক যে কথাবার্তাগুলো বলেছেন তার কথাবার্তা এবং কার্যকারণের কারণে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনেক ক্ষতি হয়েছে।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলমের প্রসঙ্গ তুলে সম্প্রতি এক টেলিভিশন টক শোতে রনি এসব কথা বলেন।

গোলাম মাওলা বলেন, ‘বইমেলায় একটা ডাস্টবিন স্থাপন করে সেখানে দাঁড়িয়ে ওনার কী দরকার ছিল সেই ডাসবিনের মধ্যে ময়লা ফেলার? ফলে কী হলো? ওনার নিজের ক্যারেক্টার গেল, চরিত্র, সুনাম, সুখ্যাতি গেল এবং ওনাকে এখন মানুষ যে কথা বলে, এটা আসলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য খুবই ক্ষতিকর।’

রনি বলেন, ‘মানুষ যখন কাজ করতে যায়, সব মানুষই ভুল করে। আমরা কোনো মানুষই ভুলের ঊর্ধ্বে নই। কিংবা কখনো কখনো অপ্রিয় কথা বের হয়ে যায়। যখন এ রকম একটা কথা সত্য কিন্তু অপ্রিয়, আমাদের ভুল হয়েছে— সেসব ক্ষেত্রে চুপ থাকাটাই হলো অতিউত্তম কাজ। এ ক্ষেত্রে ওনার জন্য সবচেয়ে উত্তম ছিল একেবারে চুপ থাকা। তা না থেকে উনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্ধার করার জন্য যে ন্যারেটিভগুলো তৈরি করছেন এতে করে উনি নিজে, ওনার সরকার এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন সম্মানিত মানুষ তারা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন।’

রনি আরো বলেন, ‘আমরা সারাটা জীবন খুব কষ্টকর ইংরেজি পড়েছি। ভীষণ রকম কষ্ট করে ইংরেজি পড়েছি। সেই নাউন, প্রোনাউন, অ্যাডজেক্টিভ আমার এখনো মুখস্ত আছে। আমি সুন্দরভাবে গ্রামার পড়াতে পারি। বাংলার চেয়ে সুন্দর করে আমি ইংরেজি পড়াতে পারি। এখন সেই ইংরেজির ওপরে, আমার কাছে মনে হয় আমার গালের ওপরে— আমার সেই স্কুলের টিচার যেভাবে ছোটকালে চড় মারত, এখন শফিক সাহেব আমার গালে চড় মেরে বলছে, ব্যাটা ইংরেজি ভালোমতো জানো না।
এখন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইংরেজি শুনে এ সমস্ত কী সব করতেছ? আয় আমার কাছে ভালো করে ইংরেজি শিখ। এই আহ্বানগুলো শুনতে ভীষণরকম অপমান বোধ করছি। এই যে ১৮ কোটি মানুষ এর মধ্যে এখন বাংলাদেশের কত ছেলে-মেয়েরা ইংরেজিতে কত ভালো করছে। আইইএলটিএস এ ৮.৫, ৯ এরকম ছেলে-মেয়েরা পাচ্ছে। আর আপনি তাদের ইংরেজি শেখাচ্ছেন।’

এবি/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আইপিএল নিলামে নজর কাড়বেন নিশাঙ্কা, আগ্রহী একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি Oct 02, 2025
img
গুগল ও ইউটিউবের বিরুদ্ধে অভিষেক-ঐশ্বরিয়া করলেন ৪ কোটি টাকার মামলা Oct 02, 2025
img
১২৯ রানে পাকিস্তানকে অলআউট করল বাংলাদেশ Oct 02, 2025
img
ইয়ামালের মায়ের সঙ্গে ডিনার করতে গুণতে হবে লাখ টাকা Oct 02, 2025
img
দীর্ঘ সময় দেশের বাইরে দেশের জন্য মন কাঁদে সাকিবের Oct 02, 2025
img
ভারতে প্রবেশের আগে যাত্রীদের পূরণ করতে হবে ডিজিটাল অ্যারাইভাল কার্ড Oct 02, 2025
img
রাতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ, সৌম্য এখনও দেশে Oct 02, 2025
img
ড. ইউনূস কখনোই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে ছিলেন না: ডা. জাহেদ উর রহমান Oct 02, 2025
img

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে Oct 02, 2025
img
সিলেটে স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যান্সার হাসপাতাল হবে : ডিসি সারওয়ার Oct 02, 2025
img
কক্সবাজার সৈকতে চলছে প্রতিমা বিসর্জন, পর্যটকের ঢল Oct 02, 2025
img
শনিবার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ফিনল্যান্ড কমিউনিটির মতবিনিময় সভা স্থগিত Oct 02, 2025
img
একটি দল স্বাধীনতাসংগ্রাম নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করছে : টুকু Oct 02, 2025
img
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর বিসিবি নির্বাচনের পুনঃসূচি ঘোষণার আহবান Oct 02, 2025
img
বিমানবন্দরের ঘটনায় এনসিপির দুঃখ প্রকাশ Oct 02, 2025
img
নওগাঁয় ট্রাক্টরের চাপায় প্রাণ গেল ইউপি চেয়ারম্যানের Oct 02, 2025
img
পাকিস্তানের ইতিহাস-ভূগোল বদলে দেয়ার হুমকি ভারতের! Oct 02, 2025
img
এনসিপিকে বেগুন-বালতিসহ ৫০ প্রতীকের অপশন দিলো ইসি Oct 02, 2025
img
সাংবাদিকদের সঙ্গে নেতাকর্মীদের আচরণ খতিয়ে দেখছে এনসিপি, প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা Oct 02, 2025
img
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ আটকের খবর শুনে ইউরোপের দেশে দেশে বিক্ষোভ Oct 02, 2025