সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াবাড়ি’ মুক্তির পর আলিয়া ভাটকে ঘিরেই আলোচনার ঝড় উঠেছিল। দর্শক ও সমালোচকরা ধরে নিয়েছিলেন, শুরু থেকেই এই চরিত্রের জন্য আলিয়াকেই বেছে নিয়েছিলেন বনশালি।
কিন্তু সম্প্রতি এক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন গায়ক ও উপস্থাপক আদিত্য নারায়ণ। এক সময় বনশালির সহকারী হিসেবে কাজ করা আদিত্য জানিয়েছেন, ছবির প্রাথমিক পরিকল্পনায় ‘গাঙ্গুবাই’ চরিত্রে রানী মুখার্জির নামই প্রথমে ভেবেছিলেন নির্মাতা।
আদিত্যর স্মৃতিচারণে উঠে আসে, সেই সময় বনশালির হাতে ছিল ‘রামলীলা’ ও ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াবাড়ি’- দুটি চিত্রনাট্য। পরিকল্পনা ছিল, রানীকেই ‘গাঙ্গুবাই’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে আনা হবে। এর পরেই গুঞ্জন ছড়ায়, ‘বাজিরাও মস্তানি’র পর বনশালি প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকেও চরিত্রটির জন্য ভাবছিলেন। তবে হলিউডের ব্যস্ততায় প্রিয়াঙ্কা আর রাজি হতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত ভাগ্য সহায় হয় আলিয়ার। চরিত্রে অসামান্য অভিনয় করে তিনি শুধু সমালোচকদের প্রশংসাই কুড়াননি, জিতে নেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর সম্মানও। আলিয়ার জীবনে এই চরিত্র এক বিরল মাইলফলক হয়ে দাঁড়ায়।
আজকের এই তথ্য প্রকাশ দেখিয়ে দিল, সিনেমার কাস্টিং কতটা নাটকীয়ভাবে ইতিহাস বদলে দিতে পারে। রানি বা প্রিয়াঙ্কার হাতে ‘গাঙ্গুবাই’ এলে হয়তো ছবির রূপই হতো ভিন্ন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আলিয়ার প্রাণবন্ত অভিনয়ই ছবিকে পৌঁছে দিয়েছে সাফল্যের শিখরে।
কেএন/টিএ