ত্রাণ নিয়ে গাজার দিকে রওয়ানা হওয়া নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ ওপর হামলা চালিয়ে ইতালির অন্তত ২২ জন নাগরিককে আটক করে ইসরাইল। তবে অবরোধ ভাঙা এবং গাজায় যাওয়ার চেষ্টা করায় নিজ দেশের নাগরিকদেরই সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। খবর আল জাজিরার।
এছাড়া এই ত্রাণ ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনবে না বলেও মন্তব্য করেন মেলোনি। ডেনমার্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক সভায় মেলোনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্পষ্টতই, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই মানুষদের ইতালিতে ফেরাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করব। তবে আমি এখনও বিশ্বাস করি যে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ত্রাণ নিয়ে গাজার দিকে যে যাত্রা শুরু করেছে তা ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য কোনো উপকার বয়ে আনবে না।’
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি পার্লামেন্টে বলেছিলেন, ইসরাইল ২২ জন ইতালির নাগরিককে আটক করেছে, যারা সুস্থ আছেন। তাজানি বলেন, ‘আমি স্বস্তি বোধ করছি যে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে কোনো সহিংসতা বা জটিলতার ঘটনা ঘটেনি।’
এদিকে, ইসরাইলের নৌবহর আটকের ঘটনায় ইতালিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। ইউনিয়নগুলো শুক্রবার সাধারণ ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছে। এর আগে গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে রওয়ানা দেয়া নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা স্থানীয় সময় বুধবার (১ অক্টোবর) গভীর রাতে ইসরাইলি বাধার মুখে পড়ে। ইসরাইলি বাহিনী জোরপূর্বক নৌযানে উঠে পড়ে এবং প্রায় দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক কর্মীকে আটক করে।
নৌযানে থাকা মানবাধিকার কর্মীদেরও আটক করা হয়। যার মধ্যে সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন বৃহস্পতিবার আয়োজকরা জানিয়েছেন, গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া নৌবহরে থাকা মোট ২২৩ জন আন্তর্জাতিক কর্মীকে ইসরাইলি বাহিনী আটক করেছে।
এবি/টিকে