আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল।
তিনি বলেন, গত ১৭ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এবার যেন জনগণ নিজ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে, এজন্য প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ও জনগণকে একসাথে কাজ করতে হবে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি শিব মন্দির মাঠে অনুষ্ঠিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হলো আমরা যাতে ভোট দিয়ে আমাদের পছন্দে প্রার্থীকে নির্বাচন করতে পারি। আমার ভোটটা যেন আমরা নিজে দিতে পারি। গত ১৭ বছর আমরা ভোট দিতে পারিনি, এখন যেন সেই ভোটটা দিতে পারি। এজন্য বিএনপি বলুন, জামায়াত বলুন, জাতীয় নাগরিক পার্টি বলুন, ইসলামী আন্দোলন বলুন, সবাইকে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ধর্মকে রাজনীতির পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। ধর্ম মানুষকে বিভক্ত নয়, ঐক্যবদ্ধ করে এই শিক্ষা আমাদের নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দিঘলিয়ায় আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত গড়তে চাই। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই মিলে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলব। রাজনীতি হবে সত্য, সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার পথে।’
অর্থনীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ ভঙ্গুর। ব্যাংক লুট, ঋণখেলাপি ও অর্থপাচারে দেশ বিপর্যস্ত। আগামী সরকারকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন অপরিহার্য।’
প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যারা অন্যায় করে, মানুষের জমি দখল করে, চাঁদাবাজি করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা যে দলেরই হোক না কেন, অন্যায়ের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে হেলাল বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন অত্যাবশ্যক। কেউ কেউ নির্বাচন পেছাতে চায়, যা ফ্যাসিবাদী শক্তির সুরে কথা বলা। বিএনপি নির্বাচনের মাধ্যমে পরিবর্তন চায়, গণতন্ত্র চায়। তাই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের বিকল্প নেই।’
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এবাদুল হক রুবায়েত। বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব নাদিমুজ্জামান জনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান মন্টু। সভায় সভাপতিত্ব করেন দিঘলিয়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কুদরত-ই-এলাহি স্পিকার।
আইকে/টিকে