হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করল ইসরাইলি মন্ত্রিসভা

ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করেছে ইসরাইলি সরকার। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হয় ইসরাইল-হামাস।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এর ফলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি স্থগিত করার এবং ৭২ ঘন্টার মধ্যে গাজায় আটক ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্ত করার পথ পরিষ্কার হলো।

গাজায় দুই বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগের প্রথম ধাপে, ইসরাইল-হামাস সম্মত হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর শুক্রবার ইসরাইলি মন্ত্রিসভা এই চুক্তিতে অনুমোদন করে।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ইংরেজি ভাষার এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়েছে, সরকার সকল জিম্মি - জীবিত এবং মৃতদের মুক্তির কাঠামো অনুমোদন করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হয় ইসরাইল ও হামাস। বিষয়টি ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর ইসরাইলের মন্ত্রিসভা চুক্তিটি অনুমোদন করতে বৈঠকে বসে। অবশেষে বৈঠক শেষে চুক্তিটি অনুমোদনের কথা জানালো নেতানিয়াহুর কার্যালয়।

চুক্তি ঘোষণার পর ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনি উভয়ই আনন্দিত,এটি দুই বছরের যুদ্ধের অবসানের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ যেখানে ৬৭,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলায় প্রায় ১২’শ লোক নিহত হন এবং কয়েক’শ লোককে গাজায় জিম্মি করে আনা হয়। এরপর গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইল।
এদিকে, হামাসের নির্বাসিত গাজা প্রধান খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে যুদ্ধ শেষ হওয়ার গ্যারান্টি পেয়েছেন।

ইসরাইলি সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, চুক্তিতে সরকার অনুমোদনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। সেই ২৪ ঘন্টার সময়কালের পরে, গাজায় বন্দি থাকা জিম্মিদের ৭২ ঘন্টার মধ্যে মুক্তি দেয়া হবে।

গাজায় এখনও বিশ জন ইসরাইলি জিম্মি জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। যেখানে ২৬ জনকে মৃত বলে ধরে নেয়া হচ্ছে এবং দুজনের ভাগ্য অজানা। হামাস ইঙ্গিত দিয়েছে, মৃতদের মরদেহ উদ্ধার করতে জীবিতদের মুক্তি দেয়ার চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে।

চুক্তির অধীনে যুদ্ধ বন্ধ হবে, ইসরাইল গাজা থেকে আংশিকভাবে সরে যাবে এবং ইসরাইলের হাতে বন্দি শত শত ফিলিস্তিনির বিনিময়ে বাকি সমস্ত জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস।

সূত্র: রয়টার্স

ইএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রাজধানীতে অপরিবর্তিত থাকতে পারে তাপমাত্রা Nov 27, 2025
img
আমাকে যারা চেনেনি তারা এখনও মাটির নিচে বসবাস করে : শাহজাহান চৌধুরী Nov 27, 2025
img
আগুনের পেছনে কারণ খতিয়ে দেখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান Nov 27, 2025
img
মিথ্যা প্রচারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থীকে আইনি নোটিশ Nov 27, 2025
img
স্বর্ণ কিনবেন, জেনে নিন আজকের বাজারদর Nov 27, 2025
img
মায়ের যত্নই দিতিপ্রিয়ার শান্তির মূল চাবিকাঠি Nov 27, 2025
img
চরিত্রই আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার: সুদীপ মুখোপাধ্যায় Nov 27, 2025
img
ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো ইন্দোনেশিয়া Nov 27, 2025
img
নতুন পে স্কেল নিয়ে সর্বশেষ তথ্য Nov 27, 2025
img

জাতিসংঘের জুডিশিয়ারি সম্মেলন

বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে : বিচারপতি সোহেল Nov 27, 2025
img
ইসিতে আইনশৃঙ্খলা বিষয় মতবিনিময় সভা আজ Nov 27, 2025
img
শিশুর অধিকার ও দায়িত্বে সচেতনতা বাড়াতে তনুশ্রীর মন্তব্য Nov 27, 2025
img
হাসিনা-কামালের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে নোটিশ জারি প্রক্রিয়াধীন Nov 27, 2025
img
ধানের শীষ বাংলাদেশের সমৃদ্ধির প্রতীক: নুরুদ্দিন অপু Nov 27, 2025
img
‘দে দে পেয়ার দে ২’-তে রাকুলের অভিনয় প্রশংসিত Nov 27, 2025
img
গিনি-বিসাউয়ের প্রেসিডেন্ট গ্রেপ্তার, ক্ষমতা হাতে নিলো সেনাবাহিনী Nov 27, 2025
img
মধ্যরাতে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ভূমিকম্পে কাঁপল কক্সবাজারের টেকনাফ শহর Nov 27, 2025
img
শেখ হাসিনার প্লট দুর্নীতির মামলায় রায় ঘোষণা হবে আজ Nov 27, 2025
img
প্রকাশ পাচ্ছে গোপন খেলাপি ঋণ : ড. মোস্তাফিজুর রহমান Nov 27, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে আজও দিল্লি, ঢাকার অবস্থান নবম Nov 27, 2025