রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় কিয়েভজুড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয়

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ব্যাপক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে শহরের বৃহৎ অংশে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এই হামলায় অন্তত নয়জন আহত হন এবং বহু এলাকায় পানি সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায়। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিচকো এ তথ্য জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জাপোরিঝঝিয়া এলাকায় এক রুশ ড্রোন হামলায় সাত বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু এবং আরও তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই অঞ্চলের প্রশাসক ইভান ফেদোরভ।

রাশিয়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা বাড়িয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক পোস্টে লিখেন, আমাদের এখন শোভন কথার নয়, বাস্তব পদক্ষেপের সময় এসেছে - যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও জি৭ দেশগুলোকে এখনই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ ও নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে দৃঢ় হতে হবে।

তিনি জানান, গত কয়েক দিনে রাশিয়া ৪৫০টি ড্রোন ও ৩০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি স্থাপনাগুলোকে ধ্বংস করার সচেতন ও নির্মম প্রচেষ্টা।

কিয়েভে একের পর এক বিস্ফোরণে বহুতল ভবনে আগুন ধরে যায়। ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় জরুরি সেবা সংস্থা জানিয়েছে, দশতলা একটি ভবনের আগুন নেভাতে দমকলকর্মীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করেছেন। আহত নয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী সভিতলানা হরিনচুক জানিয়েছেন, রাশিয়া বৃহৎ পরিসরে আঘাত হানছে এবং মেরামতকর্মীরা দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন।

রুশ বাহিনী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল ঘেঁষে জাপোরিঝঝিয়ায় রাতভর ব্যাপক হামলা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসক ফেদোরভ বলেন, একটি আবাসিক ভবনে ড্রোন হামলায় সাত বছরের একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ইউক্রেনজুড়ে এখন ‘কিনজাল’ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি রয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র অত্যন্ত দ্রুতগতির হওয়ায় অগ্রিম শনাক্ত করা কঠিন, ফলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

টিজে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দেড় যুগ পর পুরোনো ঠিকানায় ফিরছেন বালাম Oct 11, 2025
img
শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ বাতিল চায় ঐকমত্য কমিশন Oct 11, 2025
img
মালদ্বীপে ‘হিউম্যান হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন ৫ বাংলাদেশি প্রবাসী Oct 11, 2025
img
নোবেল জয়ী মাচাদোকে অভিনন্দন জানালেন প্রধান উপদেষ্টা Oct 10, 2025
img
পুলিশ এখন বানরের মতো হয়ে গেছে, ওসির ক্ষোভ প্রকাশ Oct 10, 2025
img
অবকাঠামো উন্নয়ন তদারকিতে আনিকদের বরাদ্দ দিলো ডিএনসিসি Oct 10, 2025
img
ব্যাটিং ব্যর্থতায় নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় হার বাংলাদেশের Oct 10, 2025
বে জীবনের লক্ষ্য ঠিক করবেন | ইসলামিক টিপস Oct 10, 2025
ইসরাইলের জেল থেকে রেহাই পেলেন শহিদুল আলম! Oct 10, 2025
নানা চরিত্রে অভিনয়, ভোটার টানতে ভিন্ন কৌশলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ! Oct 10, 2025
'জামায়াতের সাথে বিএনপির সিট ভাগাভাগির প্রশ্নই আসে না Oct 10, 2025
img
২০২৭ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় ৪০ হাজার কোটি ইউরো বিনিয়োগের পরিকল্পনা ইইউর Oct 10, 2025
img
অনেক রং মিশে যেমন রংধনু, তেমনই সবাই মিলে বাংলাদেশ : আমীর খসরু Oct 10, 2025
img
ফিলিপিন্সে ভূমিকম্পে ৭ জন নিহত Oct 10, 2025
img
মারুফার জীবনের গল্প শুনে চোখ ভিজবে আপনারও Oct 10, 2025
img
হংকংয়ে হামজারা, জর্ডানে অর্পিতারা Oct 10, 2025
img
আমাদের কোয়ালিফায়ারে খেলা মানায় না: তানজিম Oct 10, 2025
img
সামোয়ার হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই জয়ের স্বাদ টেইলরের Oct 10, 2025
img
নোবেল শান্তি পুরস্কার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উৎস্বর্গ করলেন মারিয়া কোরিনা মাচাদো Oct 10, 2025
img
দেড় বছর বাড়ির বাইরে যেতে পারেননি পরীমণি, কারণ কী? Oct 10, 2025