শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কে এই মারিয়া করিনা মাচাদো?

ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদো চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন। গভীর বিভাজনে থাকা দেশটির বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধ করে এক কাতারে আনতে অসাধারণ ভূমিকার জন্য তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার জন্য মারিয়া করিনা মাচাদোকে ২০২৫ সালে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

কমিটি আরও জানিয়েছে, লাতিন আমেরিকার বেসামরিক মানুষের সাহসের প্রতীক, বিশেষ করে ভেনেজুয়েলার গণতান্ত্রিক মানুষের নেতা হিসেবে মারিয়া করিনা মাচাদো অসাধারণ দৃষ্টান্ত রেখেছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মারিয়া করিনা। দেশটির বিরোধী দলগুলোর মধ্যে একসময় ব্যাপক বিভাজন ছিল। তবে মুক্ত ও অবাধ নির্বাচন এবং জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকারের দাবিতে বিরোধী শক্তি মারিয়া করিনার নেতৃত্বে এক কাতারে শামিল হয়েছিল।

কে এই মারিয়া করিনা মাচাদো?

৫৮ বছর বয়সি শিল্প প্রকৌশলী মারিয়া করিনা ২০২৪ সালে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী জোটের মনোনীত প্রার্থী হন। কিন্তু দেশটির শাসকগোষ্ঠী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আদালতের মাধ্যমে তার প্রার্থিতা বাতিল করে দেয়। যে কারণে ২০১৩ সাল থেকে দেশটিতে ক্ষমতায় থাকা নিকোলাম মাদুরোকে নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি তিনি।

মারিয়া ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভেনেজুয়েলার জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১২ সালে তিনি বিরোধী প্রেসিডেন্টর প্রাইমারিতে প্রার্থী ছিলেন, কিন্তু হেনরিক ক্যাপ্রিলেসের কাছে হেরে যান। ২০১৪ সালের ভেনেজুয়েলার বিক্ষোভের সময় তিনি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সংগঠিত করার ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রাখেন।

২০২৪ সালের ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ঐক্য প্রার্থী হন মারিয়া করিনা। তবে ২০২৩ সালের জুন মাসে ভেনেজুয়েলার কম্পট্রোলার জেনারেলের এক আদেশ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে রায় বহাল থাকে। যে কারণে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি।

মাচাদো করিনা ২০১৮ সালে বিবিসির ১০০ জন নারীর একজন হিসেবে মনোনীত হন এবং ২০২৫ সালে টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে তালিকাভুক্ত হন। 

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দেড় যুগ পর পুরোনো ঠিকানায় ফিরছেন বালাম Oct 11, 2025
img
শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ বাতিল চায় ঐকমত্য কমিশন Oct 11, 2025
img
মালদ্বীপে ‘হিউম্যান হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন ৫ বাংলাদেশি প্রবাসী Oct 11, 2025
img
নোবেল জয়ী মাচাদোকে অভিনন্দন জানালেন প্রধান উপদেষ্টা Oct 10, 2025
img
পুলিশ এখন বানরের মতো হয়ে গেছে, ওসির ক্ষোভ প্রকাশ Oct 10, 2025
img
অবকাঠামো উন্নয়ন তদারকিতে আনিকদের বরাদ্দ দিলো ডিএনসিসি Oct 10, 2025
img
ব্যাটিং ব্যর্থতায় নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় হার বাংলাদেশের Oct 10, 2025
বে জীবনের লক্ষ্য ঠিক করবেন | ইসলামিক টিপস Oct 10, 2025
ইসরাইলের জেল থেকে রেহাই পেলেন শহিদুল আলম! Oct 10, 2025
নানা চরিত্রে অভিনয়, ভোটার টানতে ভিন্ন কৌশলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ! Oct 10, 2025
'জামায়াতের সাথে বিএনপির সিট ভাগাভাগির প্রশ্নই আসে না Oct 10, 2025
img
২০২৭ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় ৪০ হাজার কোটি ইউরো বিনিয়োগের পরিকল্পনা ইইউর Oct 10, 2025
img
অনেক রং মিশে যেমন রংধনু, তেমনই সবাই মিলে বাংলাদেশ : আমীর খসরু Oct 10, 2025
img
ফিলিপিন্সে ভূমিকম্পে ৭ জন নিহত Oct 10, 2025
img
মারুফার জীবনের গল্প শুনে চোখ ভিজবে আপনারও Oct 10, 2025
img
হংকংয়ে হামজারা, জর্ডানে অর্পিতারা Oct 10, 2025
img
আমাদের কোয়ালিফায়ারে খেলা মানায় না: তানজিম Oct 10, 2025
img
সামোয়ার হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই জয়ের স্বাদ টেইলরের Oct 10, 2025
img
নোবেল শান্তি পুরস্কার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উৎস্বর্গ করলেন মারিয়া কোরিনা মাচাদো Oct 10, 2025
img
দেড় বছর বাড়ির বাইরে যেতে পারেননি পরীমণি, কারণ কী? Oct 10, 2025