রুশ ও চীনা নেতাদের পাশে বসিয়ে ‘ক্ষমতা’ দেখালেন কিম জং উন

ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশাল এক সামরিক মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। রাশিয়া ও চীনের শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন শুক্রবার (১০ অক্টোবর) পিয়ংইয়ংয়ে আয়োজিত এ মহড়ায়। 
 
এদিন বিশ্ববাসীর সামনে নিজেদের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করে উত্তর কোরিয়া। প্রদর্শনীতে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের পাশে বসেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের উপ-প্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং ভিয়েতনামের নেতা তো লাম। 
শনিবার (১১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। 
 
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, রাশিয়া ও চীনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে এক সামরিক কুচকাওয়াজে নিজেদের ‌‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছে উত্তর কোরিয়া। ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সামরিক মহড়ার আয়োজন করা হয়।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। তিনি রুশ বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের জন্য উত্তর কোরিয়ার হাজার হাজার সৈন্য পাঠানোর পর রাশিয়ার কাছ থেকেও অভাবনীয় সমর্থন পেয়েছেন তিনি।
 
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি প্রকাশিত একটি ফুটেজে দেখা গেছে, শুক্রবারের কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ, চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং ভিয়েতনামের নেতা তো লাম। তারা সবাই কিমের পাশে বসে ছিলেন।

উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে উন্নত কিছু অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়েছে এই প্রদর্শনীতে, যার মধ্যে রয়েছে এর নতুন ‘হোয়াসং-২০’ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম), যাকে উত্তর কোরিয়া নিজেদের সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক কৌশলগত অস্ত্র ব্যবস্থা হিসেবে দাবি করছে। সামরিক মহড়ায় প্রদর্শন করা অস্ত্রের মধ্যে আরও ছিল দূরপাল্লার কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন লঞ্চ যান এবং ভূমি থেকে আকাশ এবং ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র।

এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জামায়াতকে যদি ভোট দেন, তাইলে আমার মৃতদেহ পাবেন: ফজলুর রহমান Nov 28, 2025
img
নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে পুলিশ ও এনজিও আইন পাস না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের Nov 28, 2025
img
অন্তর্জালে মুক্তি পেল ওয়েব ফিল্ম ‘ফার্স্ট লাভ’ Nov 28, 2025
img
মুক্তি পাচ্ছে জারা জামান-শাহেন শাহর সিনেমা ‘খিলাড়ি’ Nov 28, 2025
img
খবর না দিলেও চলে আসে পুলিশ, স্যার বলে স্যালুট দেয় : শাহজাহান চৌধুরী Nov 28, 2025
img
খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা Nov 28, 2025
img
ক্ষমতায় গেলে বিএনপিসহ সবাইকে নিয়েই দেশ পরিচালনা করবো: জামায়াত আমির Nov 28, 2025
img
ওয়াদা পূরণই বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য: ইশরাক Nov 28, 2025
img
শুধু ৮ থেকে ১০ লেন করলে যানজট কমবে এই ধারণা ভুল : উপদেষ্টা ফাওজুল কবির Nov 28, 2025
মনোনয়ন দাবিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের কাফন পরিধান Nov 28, 2025
img
রাজবাড়ীতে ধানক্ষেতে কামড় খাওয়ার পর রাসেলস ভাইপার নিয়ে হাসপাতালে কৃষক Nov 28, 2025
img
ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার নতুন মানচিত্র প্রকাশ করল ভারত Nov 28, 2025
ভোলা বরিশাল সেতুর দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ Nov 28, 2025
img
মজলুম থেকে জালিম হইয়েন না : আসিফ মাহমুদ Nov 28, 2025
img
প্রথমবার কন্যার নাম সহ ছবি পোস্ট করলেন সিড-কিয়ারা Nov 28, 2025
img
যুবদলের ৩ নেতাকে শোকজ Nov 28, 2025
img
দুর্নীতির জন্যই বড় প্রকল্প নেয়া হয়, লাগাম টানতে হবে : রেল উপদেষ্টা Nov 28, 2025
img
রাষ্ট্র ক্ষমতায় এক দল নয়, গণঅভ্যুত্থানের সকল অংশীজনের অংশগ্রহণ প্রয়োজন: নুর Nov 28, 2025
img
১৯ দেশের নাগরিকদের অভিবাসন পুনঃমূল্যায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্র Nov 28, 2025
img
‘আবেগপ্রবণতা দলের জন্য ভালো নয়’ গম্ভীরকে নিয়ে ডি ভিলিয়ার্সের মন্তব্য Nov 28, 2025