শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ৪ মার্কিন প্রেসিডেন্ট

এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার নিয়ে জল কম ঘোলা হয়নি। এ পুরস্কার পাওয়া উচিত বলে পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে শেষ পর্যন্ত এই পুরস্কার পেয়েছেন ভেনিজুয়েলার রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকারকর্মী মারিয়া কোরিনা মাচাদো।

এর আগে ট্রাম্পের পক্ষে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিল হোয়াইট হাউস। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের একটি ছবি শেয়ার করে হোয়াইট হাউস লিখেছিল, ‘শান্তির প্রেসিডেন্ট।’ তবে ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত নোবেল না পেলেও, ইতোপূর্বে চারজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট শান্তির সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কারটি জিতেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টদের নোবেল পুরস্কার জয়ের সময় ও কারণ তুলে ধরেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

থিওডর রুজভেল্ট (১৯০৬)
যুক্তরাষ্ট্রের ২৬তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন থিওডর রুজভেল্ট।
পোর্টসমাউথ চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়া-জাপান যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতার জন্য অ্যামেরিকার প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান তিনি। হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ের রুজভেল্ট রুমে এখনও ঝুলছে শান্তিতে তার নোবেলের মেডেলটি।

উড্রো উইলসন (১৯১৯)
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ বন্ধ এবং শান্তি সুরক্ষায় প্রথম বৈশ্বিক সংস্থা লিগ অব নেশন্স প্রতিষ্ঠায় ভূমিকার জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান যুক্তরাষ্ট্রের ২৮তম প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন।

জিমি কার্টার (২০০২)
প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন নয়, বরং দায়িত্ব ছাড়ার ২১ বছর পর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জেতেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রসার এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে নিরলস প্রচেষ্টার জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

বারাক ওবামা (২০০৯)
দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ও জলবায়ুবিষয়ক তৎপরতাসহ আন্তর্জাতিক কূটনীতিকে জোরদার ও জনগণের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রচেষ্টার জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আদালত প্রাঙ্গণে মিছিলের চেষ্টায় আওয়ামী লীগের ১৭ নেতাকর্মীকে আটক Oct 11, 2025
img
ট্রফি না দেওয়ায় ক্ষোভ, নাকভিকে সরানোর উদ্যোগ নিচ্ছে বিসিসিআই! Oct 11, 2025
img
হামজাকে অধিনায়ক করে ক্যাবরেরার উচিৎ নিজেরই সরে যাওয়া Oct 11, 2025
img
ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে মহেশপুর সীমান্তে আটক ১১ Oct 11, 2025
img
একটি দল ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভোট চাচ্ছে: এ্যানি Oct 11, 2025
img
নোয়াখালী বিভাগের দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ Oct 11, 2025
img
সুদানে ড্রোন হামলায় প্রাণ গেল অন্তত ৩০ জনের Oct 11, 2025
img
ট্রাম্পকে নোবেল না দেওয়ায় এ পুরস্কারের সম্মান কমে গেছে: পুতিন Oct 11, 2025
img

আইন উপদেষ্টা

রাষ্ট্রপতি কখনোই স্বাধীনভাবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেননি Oct 11, 2025
img
বাহরাইনের মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ Oct 11, 2025
img
রুমিন ফারহানার আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জুনায়েদ আল হাবীব! Oct 11, 2025
img
শেখ হাসিনাসহ গুম-খুনের নির্দেশদাতাদের বিচার দাবি ডাকসুর Oct 11, 2025
img
গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে ঢাকায় নেতাদের ডেকেছে জাতীয় পার্টি Oct 11, 2025
img
সেফ এক্সিট চাই না, এই দেশ আমার, এখানেই আমি থাকব: ধর্ম উপদেষ্টা Oct 11, 2025
img
প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ কিছু এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ : ডিএমপি Oct 11, 2025
img
বিমানের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ১১ জন বহিষ্কার Oct 11, 2025
img
২ বছর পর খুললো গাজার শুহাদা মসজিদ Oct 11, 2025
img

গোলাম পরোয়ার

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ওয়ান টু-তে সব সমাধান হয়ে যাবে Oct 11, 2025
img
গোপন প্রেমে আবু ত্বহা আদনান, স্ত্রীর প্রতিক্রিয়া Oct 11, 2025
img
পবিত্র মক্কায় আবেগঘন ফারহান Oct 11, 2025