পূর্বঘোষিত নির্ধারিত সময়ে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাকসু ও রাকসু প্রশাসনসহ সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
রোববার (১২ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, প্রায় ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের বহুল কাঙ্ক্ষিত চাকসু ও রাকসু নির্বাচন। এরইমধ্যে নির্বাচনকে ঘিরে নানান নাটকীয়তা ও উত্তাপ ছড়িয়েছে এবং নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রও আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। তাই আমরা আর পেছনে ফিরে তাকাতে চাই না। আমরা প্রত্যাশা করি- আগামী ১৫ ও ১৬ অক্টোবর ঘোষিত সময় অনুযায়ী যথাক্রমে চাকসু ও রাকসু নির্বাচন সম্পন্ন হবে এবং নির্বাচনকে সফল করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
নেতারা আরও বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন শিক্ষার্থীদের অধিকার। লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির সংশোধনের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রতিনিধিত্বমূলক ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে ছাত্রসংসদ ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা লক্ষ্য করেছি- শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ততা একটি উৎসবমুখর নির্বাচনের ইঙ্গিত দিলেও নির্বাচনকে বিতর্কিত ও বানচাল করতে নানা মহল থেকে ষড়যন্ত্র চলমান রয়েছে।
চাকসু নির্বাচন কমিশনে একটি দলের একক আধিপত্য নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। আমরা আশা করি– চাকসু প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আশঙ্কাকে আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
অন্যদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা ও অনাকাঙ্ক্ষিত শিক্ষক হেনস্তার ঘটনাকে পুঁজি করে একটি মহল রাকসু বানচালের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে চারবার নির্বাচন পিছিয়ে আগামী ১৬ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। সুতরাং নির্বাচন ব্যাহত করে, এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা সব মহলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
নেতারা বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- সব পক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা ও প্রশাসনের নিরপেক্ষ মনোভাবের মাধ্যমেই চাকসু ও রাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মহলকে কোনো চাপ বা প্রভাবের কাছে নতি স্বীকার না করে শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
টিজে/এসএন