রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব।
রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
লিখিত বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, আমি ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করি। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ও নীতিগত শূন্যতা বিরাজ করছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সেই শূন্যতা পূরণ, ক্লাস ও পরীক্ষা স্বাভাবিক করা, ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা, গবেষণা উৎসাহিত করা এবং আবাসিক হলের ব্যবস্থাপনা উন্নত করার পাশাপাশি রাকসু নির্বাচন আয়োজনকে আমি আমার অন্যতম অগ্রাধিকার হিসেবে দেখি। প্রক্টরিয়াল টিম ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সহযোগিতায় ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা একযোগে কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ৩৫ বছর ধরে নির্বাচনহীন রাকসুকে পুনরুজ্জীবিত করাই ছিল আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। আমরা একটি শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠন করি। কমিশন তফসিল ঘোষণা, মনোনয়নপত্র বাছাই, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশসহ নির্বাচনী প্রস্তুতি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাকসু নির্বাচনের প্রতি যে অদম্য আগ্রহ ও গণতান্ত্রিক চেতনা সৃষ্টি হয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে গঠনতন্ত্র সংশোধনে সময়ক্ষেপণ, ভর্তি কার্যক্রম ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর ভিন্নগতির কারণে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন সম্ভব হয়নি।
উপাচার্য বলেন, বিভিন্ন পরিস্থিতি ও পক্ষগুলোর পরামর্শে নির্বাচনের তারিখ একাধিকবার পরিবর্তন করতে হয়েছে। তবে আমরা ১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমি বিশ্বাস করি, রাকসু নির্বাচন এখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রাধিকারের বিষয়। তাই শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী—সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যদি আমরা এই নির্বাচন সফল করতে পারি, তবে বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যাবে।
ভোট গণনার বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ভোট গণনায় আমাদের তিন দিন সময় লাগবে না। এর জন্য আমাদের কাছে একটি দক্ষ টেকনিক্যাল টিম রয়েছে। ব্যালট বাক্স খোলা থেকে শুরু করে ভোট গণনা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপই উন্মুক্ত ক্যামেরার সামনে সম্পন্ন হবে। শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই নয়, বরং গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে সারা দেশের মানুষও এ গণনা প্রক্রিয়া সরাসরি দেখতে পারবে। নির্বাচন কমিশন বলেছে ম্যাক্সিমাম ১২-১৫ ঘণ্টা সময় লাগবে এ গণনা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে।
বিশ্ববিদালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, নির্বাচনের পরদিন থেকেই যেন নির্বাচিতরা তাদের নির্ধারিত রুমে বসতে পারে সেজন্য আজ থেকেই রাকসু ভবন মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে।
এমকে/এসএন