চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো অসুস্থ রয়েছে তিনজন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) ও রোববার (১২ অক্টোবর) দুই দিনে এই ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একজন সদর হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। একজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মৃত্যুর পর স্বজনরা মৃত্যুর কারণ গোপন রেখে মরদেহ দাফন করে তড়িঘড়ি করে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়রা বলেন বিষাক্ত এলকোহল পানে তাদের মৃত্যু হয়েছে। সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল জামাল আল নাসের জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ও পদ্মবিলা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের ৯-১০ ব্যক্তি বিষাক্ত অ্যালকোহল পান করেন। বিষাক্ত অ্যালকোহল পান করার কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন পর্যায়ক্রমে।
শংকরচন্দ্র গ্রামের লালটু নামের এক ব্যক্তি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়াও আরও দুজন ব্যক্তি অসুস্থ রয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারা ১১ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা পদ্মবিলা ইউনিয়নের নফরকান্দি গ্রামের পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক খেদের আলি, খেজুরা গ্রামের হাসপাতাল পাড়ার মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিম মারা যান।
১২ অক্টোবর চারজন অ্যালকোহল পানে মারা যান। পদ্মবিলা ইউনিয়নের পিরোজখালি গ্রামের স্কুলপাড়ার ভ্যানচালক লালটু ওরফে রিপু। শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের ডিঙ্গেদাহ গ্রামের টাওয়ার পাড়ার মিল শ্রমিক সামির, ডিঙ্গেদাহ গ্রামের এশিয়া বিস্কুট ফ্যাক্টরি পাড়ার লেবার সরদার লালটু ও অংক চন্দ্র গ্রামের মাঝের পাড়ার শহীদ মারা যান।
অ্যালকোহল পান করে মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। অনেকেই মরদেহ দাফন করে ফেলেছে। কোথা থেকে এ জাতীয় অ্যালকোহল আসলো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মারা যাওয়া এবং অসুস্থ ব্যক্তিরা অ্যালকোহল কোথা থেকে কিনেছে সেটাও পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি এ ঘটনায়।
পিএ/টিএ