দিল্লি টেস্টে ফলোঅনে পড়ার পর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯০ রানের সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্টে ১৬ ইনিংস পর ৩০০ রান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারতকে ১২১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে। তাতে চতুর্থ দিন শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১ উইকেটে ৬৩ রান। জয়ের জন্য আর মাত্র ৫৮ রান দরকার গিলের দলের।
জন ক্যাম্পবেল ও শাই হোপের জোড়া শতকে ভর করে ইনিংস হারের লজ্জা থেকে বেঁচেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে দ্বিতীয় টেস্টে হার এড়াতে অবিশ্বাস্য কিছু করতে হবে ক্যারিবীয় বোলারদের। শেষ দিনে ভারতের যেখানে প্রয়োজন মাত্র ৫৮ রান, সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তুলে নিতে হবে ৯ উইকেট।
ক্যাম্পবেল ও হোপের উপর ভরসা করে চতুর্থ দিনে নেমেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভালোই এগোচ্ছিল সফরকারীরা। ২১২ রানেও ২ উইকেট ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তবে ক্যাম্পবেল ও হোপের ১৭৭ রানের জুটি ভাঙার পর আর কেউ দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে পারেননি।
ক্যাম্পবেল ও হোপের জুটি ভাঙেন জাদেজা। এলবিডব্লিউ করে ১১৫ রান করা ক্যাম্পবেলকে ফেরান তিনি। এরপর অধিনায়ক রোস্টন চেজ হোপের সঙ্গে ৫৯ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ২৭১ রানে ১০৩ রান করা হোপকে বোল্ড করেন মোহাম্মদ সিরাজ। এরপর দ্রুত ২৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে আবারও বিপদে পড়ে সফরকারীরা। তখন মনে হচ্ছিল, ইনিংস ব্যবধানে হারবে তারা। তবে শেষ দিকে দলকে সেই লজ্জা থেকে বাঁচান জাস্টিন গ্রিভস ও জেডন সিলস। শেষ উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়েন এই দুইজন।
গ্রিভস শেষ পর্যন্ত ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন। আর ৩২ রান করে আউট হন সিলস। ভারতের হয়ে তিনটি করে উইকেট পান কুলদিপ ও বুমরাহ। ১২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জয়সওয়ালকে হারায় ভারত। প্রথম ইনিংসে শতক হাঁকানো জয়সওয়াল ফেরেন ৮ রান করে। তবে দিন শেষে আর কোনো উইকেট হারায়নি স্বাগতিকরা। চতুর্থ দিন শেষে কেএল রাহুল ২৫ এবং সুদর্শন ৩০ রানে অপরাজিত আছেন।
এসএস/এসএন