চাকসু নির্বাচন

৩৫ বছর পর চবি ক্যাম্পাসে ফের ভোটের আমেজ

৩৫ বছর পর বহুল কাঙ্ক্ষিত চাকসু নির্বাচন কাল। প্রচারণা শেষে এখন অপেক্ষা ভোট উৎসবের। ভোটগ্রহণের পাশাপাশি কমিশন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে গণনা ও ফলাফল ঘোষণায় যেন জটিলতা বা বিলম্ব না হয়। নির্বাচন ঘিরে থাকছে পাঁচস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

নয়নাভিরাম সবুজ ক্যাম্পাসে ভোটের উৎসব। দেশের অন্যতম বড় বিদ্যাপিঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে কেন্দ্রীয় বা হল সংসদে ভোট হয়নি গেল ৩৫ বছর। ফলে এবারের ভোট নিয়ে আছে বাড়তি উচ্ছ্বাস-আগ্রহ।
চাকসু প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালে। এরপর নির্বাচন হয়েছে ৬টি। যার সবশেষটি হয় ৯০ সালে। এসব নির্বাচনে একবার ছাত্রশিবির, বাকি পাঁচটিতে জয় পায় ছাত্রলীগ, জাতীয় ছাত্রলীগসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠন। দীর্ঘ খরা কাটিয়ে এবারের ভোটকে ভালো উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন সাবেক ভিপি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী বলেন, এটি অবশ্যই ছাত্র সমাজের জন্য আসার সংবাদ। বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ সমূহের ছাত্র সংসদ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সবসময় পালন করে আসছে। বিশেষ করে আমাদের দেশে নেতৃত্ব তৈরির কারখানা হিসেবে এ সংসদগুলো সব সময় বিবেচিত হতো।

এবার চাকসুর সপ্তম নির্বাচনে ভোটার ২৭ হাজার ৫শ ১৬। যাতে ভিপি-জিএসসহ কেন্দ্রীয় সংসদে পদ ২৬টি। ১৫ হল ও হোস্টেল সংসদে পদ ১৪টি করে। যার বিপরীতে প্রার্থী ৯শ ৮ জন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ১৩টি প্যানেল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রার্থী ৪১৫। ৫টি অনুষদ ভবনে ১৫ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে ৬০টি কক্ষে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সারাউন্ডিং এরিয়া অনেক বিক্ষিপ্ত। এখানে ৩১টি বের হওয়ার পথ রয়েছে, ওরা ঢুকতে পারে। সেজন্য ৩১টি পথের মধ্যে ৭টিকে ব্লক করে দিয়েছি, বাকি ২৪টিকে আমরা পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব এবং এপিবিএন দ্বারা একটা নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রেখেছি।

ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতিই সম্পন্ন করে এনেছে কমিশন। নিরাপত্তায় থাকছে বিভিন্ন বাহিনীর ১৪শ কর্মী। জাকসুতে ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণায় বিলম্বের বিষয়টি মাথায় রেখে তা এড়াতে চাকসুতে ভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, এই যে প্রক্রিয়াগুলোর কিছু বিষয় আছে, আমরা মাঝরাতের মধ্যে চেষ্টা করব যাতে রেজাল্টটা দিতে পারি। তবে হলেরগুলো দ্রুত হয়ে যাবে। কেন্দ্রেরটা সব কেন্দ্র হয়ে গেলে তারপর আমরা যোগ করে এরপর ঘোষণা দিতে হবে।

বহু আকাঙ্খার এই ভোটে জিতে কারা বসেন চাকসুর চেয়ারে, তাই-এখন দেখার অপেক্ষায় সবাই।

এবি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তৃতীয় বিয়ে নিয়ে সমালোচনার পরে মুখ খুললেন তনির স্বামী Oct 14, 2025
img
বিএনপির এই রাজনীতিটা অত্যন্ত ইতিবাচক : জিল্লুর রহমান Oct 14, 2025
img
দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে অধিকাংশ শেয়ারে দরবৃদ্ধি Oct 14, 2025
img

সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

কুয়েতের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বাংলাদেশি দূতের সাক্ষাৎ Oct 14, 2025
img
সেনাবাহিনীকে যে ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে, অতীতে কখনো হয়নি : রুমিন ফারহানা Oct 14, 2025
img
এখন গাজাকে পুনর্গঠন করার সময় : ট্রাম্প Oct 14, 2025
img
জামায়াত আমির-ডেনিশ রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ Oct 14, 2025
img
দেশে অস্থিরতার চক্র ভাঙার একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন : জাহেদ উর রহমান Oct 14, 2025
img
সংগীত কিংবদন্তিদের গল্প নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন স্ট্রেঞ্জার থিংস তারকা ফিন উলফহার্ড! Oct 14, 2025
img
ইসি নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা নেই জনগণের, ব্যাপক প্রচারণার উদ্যোগ Oct 14, 2025
img
অবরোধ প্রত্যাহার ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের, যানচলাচল স্বাভাবিক Oct 14, 2025
img
স্বর্ণ ৫ হাজার ও রুপা ৬৫ ডলারে পৌঁছাতে পারে ২০২৬ এর মধ্যেই! Oct 14, 2025
img
সাকিবের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পরও শিরোপা হাতছাড়া Oct 14, 2025
img
টেইলর সুইফটের নতুন অ্যালবাম রেকর্ড ভাঙল অ্যাডেলের Oct 14, 2025
img
লম্বা বিরতির পর ফের ছোট পর্দায় স্বস্তিকা Oct 14, 2025
img
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে রুমিন ফারহানার মন্তব্য Oct 14, 2025
img
ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপ, যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে বাড়ি নির্মাণের খরচ Oct 14, 2025
img

বিবিসিকে জর্ডানের বাদশাহ

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হবে Oct 14, 2025
img
দেশের সরকারগুলোর বড় দুর্বলতা দ্রুত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় : মাসুদ কামাল Oct 14, 2025
img
আর নেই প্রবীণ অভিনেত্রী ইন্দিরা দেবী Oct 14, 2025