প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় ফরিদপুরকে আলাদা বিভাগ ও শরীয়তপুর জেলাকে অন্তর্ভুক্তের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাবে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার সামনে সড়ক অবরোধ করেছে ‘জাগো শরীয়তপুর’ নামে একটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় প্রায় আধা ঘণ্টা পদ্মা সেতুতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার সামনে সড়ক অবরোধ করেন তারা। এর আগে সকালে একই স্থানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
মানববন্ধনকারীরা জানায়, প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় ফরিদপুরকে আলাদা বিভাগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যেখানে শরীয়তপুর জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে ভৌগোলিক দিক থেকে শরীয়তপুর থেকে ফরিদপুরের তুলনায় ঢাকার দূরত্ব কম। তাছাড়া শরীয়তপুরের সঙ্গে ঢাকার শিক্ষা, সংস্কৃতি, চিকিৎসা, ব্যবসা বানিজ্যের এক নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে। পদ্মা সেতুর চালুর পর থেকে সেগুলো আরও সহজতর হয়ে গেছে। তাই শরীয়তপুরবাসী কোনোভাবেই ফরিদপুর বিভাগে যেতে চাচ্ছে না। তারা শরীয়তপুরকে ফরিদপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় সামনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আল-আমিন নামের এক আন্দোলনকারী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার সঙ্গে রয়েছি। তাছাড়া ফরিদপুর থেকে ঢাকায় আমরা সহজে যাতায়াত করতে পারি। আমরা কোনোভাবেই ফরিদপুর বিভাগে যাব না। যদি আমাদের দাবি মানা না হয়, তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।
জাগো শরীয়তপুরের আহ্বায়ক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, আমরা আজ ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি পালন করেছি। প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগ থেকে শরীয়তপুরের নাম বাদ দেওয়া নাহলে লাখ লাখ মানুষ মিলে পদ্মা সেতু ব্লকেড করে দক্ষিণ বঙ্গ অচল করে দেয়া হবে।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। প্রায় ২৫ মিনিট যানচলাচল বন্ধ ছিল। আমাদের অনুরোধে আন্দোলনকারীরা পরবর্তীতে সরে যায়।
টিজে/টিকে