চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা নিয়ে তেমন কোনো হুমকি দেখছে না বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান এ কথা বলেন।
হাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে কোনো হুমকি নেই। শুধু বাইরে থেকে ইন্ধন না এলে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা যাবে।’
এর আগে, তার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে প্রক্টর মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি, একটা মিটিং করেছি সমন্বয় মিটিং এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার স্যারের সাথেও আমরা মিটিং করেছি।’
হাফিজুর রহমান বলেন, ‘দুই জায়গাতেই নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার স্যারের পরিকল্পনাটা এবং প্রক্টর মহোদয়ের যে পরিকল্পনা আছে এগুলো শুনেছি।’
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিজেদের প্রস্তুতি তুলে ধরে তিনি বলেন,‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পুলিশ, এপিবিএন প্রচুর পরিমাণে নিয়োগ থাকবে এবং আমাদের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের কমপক্ষে আটটি টহল দল সবসময় থাকবে এবং অতিরিক্ত রিজার্ভ ফোর্স আমরা রাখব, প্রয়োজন হলে তারাও আসবে। এছাড়াও আমাদের সাদা পোশাকে বেশ কিছু গোয়েন্দা সংস্থা থাকবে, গোয়েন্দার লোকজন থাকবে।’
হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আর স্যারদের সাথে যেটা প্রক্টর মহোদয় এবং নির্বাচন কমিশনার স্যারের সাথে যেটা কথা হয়েছে, এগুলো আমাদের ইন্টারনাল সমন্বয় করার জন্য, কোথায় কতজন থাকছে না থাকছে এই বিষয়গুলো যাতে সার্বিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।’
এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হয়েছে জানিয়ে হাফিজুর বলেন,‘তো আশা করি নির্বাচনটা খুব সুন্দরভাবে, সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’
নির্বাচন নিয়ে কোন ধরনের হুমকি আছে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন,‘গত এক বছর বা ১৪ মাসের অভিজ্ঞতা থেকে যদি দেখেন, থ্রেট আসলে খুব বেশি পরিকল্পিতভাবে আসে এরকম না।’
হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ছোট্ট একটা বিষয়কে নিয়ে স্পার্ক করে বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যায়। তো এই ছোট ছোট ঘটনাকে স্পার্ক যাতে কেউ করতে না পারে বা বাইরে থেকে...মূলত স্টুডেন্টদের কোন সমস্যা নাই।’
তিনি বলেন,‘স্টুডেন্টরা তো আসলে নিজেদের ক্লাসমেট, ফ্রেন্ড বা বড় ভাই-ছোট ভাই। তো বাইরে থেকে কেউ যেন কোন ইন্ধন দিতে না পারে, সেটার বিষয়ে আমরা বেশি সতর্ক থাকব। আশা করছি স্টুডেন্টদের পক্ষ থেকে কোন সমস্যা নেই এবং বাইরেরটা কন্ট্রোল করতে পারলে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা যাবে।’
উল্লেখ্য, সাড়ে তিন দশক পর সপ্তম্বারের মতো চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বুধবার। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ হাজার ৫১৬ শিক্ষার্থী ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। যেখানে ছাত্রী ভোটার প্রায় ১১ হাজার ৩২৯ জন। নির্বাচন উপলক্ষ্যে এরইমধ্যে কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট বাক্স পৌঁছে গেছে।
এছাড়া সংবাদকর্মীদের ভোটের খবর সংগ্রহের জন্য অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড এবং যানবাহনের পাস দেওয়াসহ শেষ মহূর্তের কাজ গুছিয়ে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা।
টিজে/টিকে