বিভ্রান্তি এড়াতে দলগুলোকে আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিত : শেখ রবিউল আলম

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যে ইনিশিয়েটিভগুলো নিয়েছে, আমার কাছে মনে হয়েছে, তারা সংবিধান অনুসারে এবং তাদের আরোপিত বিধিবিধান অনুসারে কাজ করছে। এখন কোনো একটি রাজনৈতিক দলের পারপাস ওই দলের মতো করে করতে পারলো না বিধায় যদি অভিযোগগুলো ক্রমাগতভাবে এভাবে আসে, তাহলে জনগণ বিভ্রান্তিতে পড়েন। এই জায়গায় রাজনৈতিক দলগুলোকে আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে এসব কথা বলেন তিনি।

রবিউল আলম বলেন, ক্ষমতার লোভে হোক অথবা জনগণের প্রতি আস্থার ঘাটতি থাকার কারণে হোক, কোনো কোনো সময় রাজনৈতিক দলের বা গোষ্ঠীর চিন্তাটা নির্বাচন কমিশন অথবা সরকারের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার একটা মানসিকতা দেখতে পাচ্ছি। এর থেকে রাজনৈতিক দলগুলো বিরত থাকা উচিত।

তিনি আরো বলেন, সব রাজনৈতিক দল বলছে আমাদের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার করতে হবে, স্বতন্ত্র করতে হবে। রাষ্ট্রের হয়ে ফাংশন করবে দলের হয়ে করবে না।

আমরা সংবিধান সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো গঠন করতে চাইছি। সেজন্য সনদেও সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করেছি, সেভাবে সংস্কার চাচ্ছি। কিন্তু আবার যখন প্রতীক বরাদ্দ হবে, তখন আমার পছন্দের প্রতীক চাচ্ছি। আমার মতো করে বাস্তবায়ন চাচ্ছি।

না করলে আবার নির্বাচন কমিশনকে ধমকে রাখছি। বলা হচ্ছে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এই নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করতে হবে, এই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ না এভাবে যখন আমরা বলি, আবার যখন স্বতন্ত্রভাবে ফাংশন করবে এটাও চাই, সেটাও দ্বিচারিতা হয়ে যায়। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পারপাস সার্ভ করা নির্বাচন কমিশনের কাজ না। এভাবে আমাদের সব দলকে নির্বাচন কমিশনকে দেখতে হবে।

তিনি বলেন, একটা বিধিমালা আছে প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে। নির্বাচন কমিশনের ইনলিস্টেড প্রতীক থেকেই প্রতীক চয়েস করতে হয়। প্রতীক বরাদ্দ বা বাদ দেওয়া নির্বাচন কমিশন করতে পারেন। প্রতীক বরাদ্দ নির্বাচন কমিশনের একটা বিধিমালা আছে। সেই বিধিমালা অনুসারে সে করে। তার ইনলিস্টেড প্রতীক থেকে কোনো রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পেলে তাকে চয়েস করার সুযোগ দেওয়া হয়। এখন আপনি সেখান থেকে প্রতীক নেবেন না। আপনি একটা প্রতীক চান সেটাকে দিতে হবে। এটা তো নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা না।

এমকে/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

রিপন মিয়াকে নিয়ে চমকের ফেসবুক পোস্ট নেট দুনিয়ায় তোলপাড় Oct 15, 2025
নভেম্বরে গণভোট চাইলো জামায়াত Oct 15, 2025
আশা করছি ১৭ অক্টোবর সব রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে সাক্ষর করবে’ Oct 15, 2025
মাশরাফি সরলেন রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে মন্তব্য ক্রীড়া উপদেষ্টার! Oct 15, 2025
সাংবাদিককে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য চবি ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থীর! Oct 15, 2025
মিরপুরের কেমিক্যাল ভবনে আগুন, আরও ৭২ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে Oct 15, 2025
নির্বাচনের আগে কতটা চাপে ছাত্রশিবির প্যানেল? Oct 15, 2025
img
কেবিসির হট সিটে অমিতাভের মুখোমুখি দিলজিৎ, পুরস্কারমূল্য যাবে বন্যার্তদের সেবায় Oct 15, 2025
img
‘ধুম ৪’ থেকে আচমকা বাদ পড়ল কিয়ারা Oct 15, 2025
img

জুলাই আন্দোলন

শেখ হাসিনার ফোনালাপ গোপনে রেকর্ড করে এনটিএমসি Oct 15, 2025
img
৩ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক Oct 15, 2025
img
তামিলনাড়ুতে শুধুই তামিল, হিন্দি নিষিদ্ধের পথে সরকার Oct 15, 2025
img
খালেদা জিয়া বলেছিলেন, একদিন হাসিনাকেও মানুষ উচ্ছেদ করবে: ফখরুল Oct 15, 2025
img
আপনাদের সঙ্গে সম্ভবত আর দেখা হবে না: ইনু Oct 15, 2025
img
৩০ হাজার কোটির সম্পত্তির দলিলে ছেলের নাম ভুল, চাঞ্চল্য কারিশমা পরিবারে Oct 15, 2025
img
সালমানের মতো ক্রিমিনাল কেন জওয়ানে-প্রশ্ন তুললেন পরিচালক Oct 15, 2025
img
নির্বাচনের আগেই পেশিশক্তির ব্যবহার শুরু হয় গেছে: শামীম সাঈদী Oct 15, 2025
img
ব্যাট ছুড়ে শাস্তি পেলেন আফগানিস্তানের ব্যাটার Oct 15, 2025
img
পাকিস্তান-আফগানিস্তানের ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা Oct 15, 2025
img
রাতে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া Oct 15, 2025