যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে রাজি করাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির হোয়াইট হাউসে পৌঁছানোর আগেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্যারিস ভিত্তিক ফ্রান্স সংবাদমাধ্যম এএফপি জানায়, বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুই নেতার মধ্যে দীর্ঘ ফোনালাপ হয়। এতে ‘বড় ধরনের অগ্রগতি’ হয়েছে দাবি করে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। এদিকে, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করতে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার কথা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। এই বৈঠকের ঠিক এক দিন আগে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসার ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পুতিনের সঙ্গে এটি হবে তার দ্বিতীয় বৈঠক। এর আগে গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় দুই নেতা বৈঠকে বসেন। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ওই বৈঠকে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে এই ‘অগৌরবজনক’ যুদ্ধ বন্ধ করা যায় কি না, তা দেখতে তিনি এবং পুতিন হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে বৈঠক করবেন জানিয়ে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছেন, আমি বিশ্বাস করি, আজকের টেলিফোন আলাপে দারুণ অগ্রগতি হয়েছে।
ট্রাম্প আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তারা আগামী সপ্তাহে ‘প্রাথমিক বৈঠক’ করবেন। তবে এই বৈঠক কোথায় হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়, শান্তিচুক্তিতে পৌঁছাতে রাশিয়া রাজি না হওয়ায় ট্রাম্প সম্প্রতি পুতিনের প্রতি ক্রমেই হতাশা প্রকাশ করে আসছিলেন। এরপর ট্রাম্পের এই ঘোষণা পুতিনের সঙ্গে তার সম্পর্কের সর্বশেষ নাটকীয় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, ফোনালাপের বিষয়ে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে ‘দ্বিধাহীন ও আস্থাপূর্ণ’ আলোচনা হয়েছে। দুই নেতার বৈঠক আয়োজনে কাজ শুরু করেছে ক্রেমলিন।