বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের স্বত্বাধিকারী খায়রুল বাশারের প্রায় চার কোটি টাকা মূল্যের তিনটি ফ্ল্যাট ক্রোক করেছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসিম উদ্দীন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খায়রুল বাশারের নামে থাকা এসব ফ্ল্যাট ক্রোক ও রিসিভার নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন বিশেষ জজ আদালত।
জসিম উদ্দীন বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের বিষয় অনুসন্ধানকালে সিআইডি প্রাথমিক সাক্ষ্যপ্রমাণ পায় এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়। এ মামলায় গত ১৪ জুলাই ধানমন্ডি থেকে খায়রুল বাশারকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, খায়রুল বাশার নিজেকে একজন শিক্ষাবিদ ও ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিতেন। কিন্তু তিনি এর আড়ালে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্রের সহযোগিতায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
খায়রুল বাশার ও তার সহযোগিরা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের আমেরিকা, কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষার জন্য স্বল্প খরচে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রেরণের চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করতেন। এভাবে পারস্পরিক যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রাথমিক সাক্ষ্যপ্রমাণাদি পাওয়া যায়।
তদন্তের তথ্য জানিয়ে জসিম উদ্দীন বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে তিনটি ফ্ল্যাটের মালিক হন যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় চার কোটি টাকা।
বর্তমানে মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট পরিচালনা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান করা হচ্ছে।
কেএন/টিএ