যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী মাসে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ওয়াশিংটন সফরের সময় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে চলমান আলোচনার বিষয়ে অবগত কয়েকজন ব্যক্তি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফিনান্সিয়াল টাইমসকে।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যখন ক্রাউন প্রিন্স ওয়াশিংটনে আসবেন, তখন কিছু স্বাক্ষর হতে পারে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনো বিস্তারিত নির্ধারণ হয়নি।
ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, প্রস্তাবিত চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে সম্প্রতি সম্পাদিত প্রতিরক্ষা চুক্তির মতো হতে পারে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কাতারের ওপর কোনো সশস্ত্র আক্রমণ হলে সেটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, এক মাস আগে কাতারের সঙ্গে এই চুক্তি হয়। সেই সময় ইসরায়েল দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলার মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা চালায়।
এ দিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ফিনান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছে, সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা তাদের আঞ্চলিক কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। তবে তারা সম্ভাব্য চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
রয়টার্সের পক্ষ থেকে মন্তব্য চাওয়া হলেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোয়াইট হাউস এবং সৌদি সরকার এ বিষয়ে কোনো সাড়া দেয়নি।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে রিয়াদ, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কাতারের মতোই নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চাইছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গত মাসেই পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তানের সঙ্গে একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে সৌদি আরব।
সূত্র: ফিনান্সিয়াল টাইমস, রয়টার্স
এমকে/এসএন