অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

অগ্নিসংযোগের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সরকার

এবার সারাদেশে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু বড় অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললো অন্তর্বর্তী সরকার। জানানো হয়, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বা অগ্নিসংযোগের কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এমনটা জানায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

বিবৃতিতে বলা হয়, সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত বেশ কিছু বড় অগ্নিকাণ্ড নিয়ে জনগণের উদ্বেগ সম্পর্কে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবগত।

সকল নাগরিককে আশ্বস্ত করে জানানো হয়, নিরাপত্তা সংস্থাগুলো প্রতিটি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছে এবং সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে মানুষের জীবন ও সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করছে। ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কোনো অপরাধমূলক কার্যকলাপ বা উসকানিকে জনজীবন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করতে দেওয়া হবে না।

এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে আরও স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলা হয়, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই- যদি এসব অগ্নিকাণ্ড নাশকতার ফল হয়ে থাকে এবং এর উদ্দেশ্য আতঙ্ক ও বিভাজন সৃষ্টি করা হয়, তবে তারা সফল হবে কেবল তখনই-যদি আমরা ভয়কে আমাদের যুক্তি ও দৃঢ়তার ওপর প্রাধান্য নিতে দিই।

এ সময় ঐক্য, শান্তভাব ও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে নতুন গণতন্ত্রের প্রতি যেকোনো হুমকি মোকাবিলা করারও আহ্বান জানানো হয়।

উল্লেখ্য, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে শনিবার ‍দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ৫ ঘণ্টা পার হলেও এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম ইপিজেডের একটি কারখানায় আগুন লাগে। টানা ১৭ ঘণ্টা জ্বলার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে একটি সূতার মিলে আগুনে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

তারও আগে গত ১৪ অক্টোবর মিরপুরের রূপনগরে একটি কেমিক্যাল গোডাউন এবং পোশাক কারখানায় আগুন লাগে। মিরপুরের ওই অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জন প্রাণ হারায়।

টিজে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ধীরে ধীরে টিকটকের পথে হাঁটছে ফেসবুক Oct 21, 2025
img
পুতিন কিয়েভের ৭৮ শতাংশ জমি দখল করে নিয়েছে: ট্রাম্প Oct 21, 2025
img
ইউএস-বাংলায় যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, মোট এয়ারক্রাফট ২৫টি Oct 21, 2025
img
জুলাই জাতীয় সনদে সই না করা দলগুলো স্বাক্ষর করবে, আশা সালাহউদ্দিনের Oct 21, 2025
img
অনুরোধ সত্ত্বেও রোনালদোকে আনতে পারল না ভারত Oct 21, 2025
img
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে উইকিপিডিয়া Oct 21, 2025
img

টাস্কফোর্স প্রতিবেদন

অতিমাত্রায় প্রকল্পনির্ভরতা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে দুর্বল বিবিএস Oct 21, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু Oct 21, 2025
img
সিরিজ জয়ের মিশনে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ Oct 21, 2025
img
আমরা নিয়মিত উইকেট হারিয়েছি, স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পারিনি : নিগার সুলতানা Oct 21, 2025
img
ন্যায্য চুক্তিতে সম্মত না হলে চীনকে ১৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের Oct 21, 2025
img
অর্ধেক প্লেট ফল ও সবজি রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের Oct 21, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে রিভিউ শুনানি আজ Oct 21, 2025
img
সৌদি আরবকে চুক্তিতে আনতে নতুন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ট্রাম্পের Oct 21, 2025
img
গাজা যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদারে যুক্তরাষ্ট্র Oct 21, 2025
img
নতুন জাহাজে প্রতিবছর দেশের শিপিং ব্যবসায় বৈদেশিক আয় বাড়ার আশা Oct 21, 2025
img
নির্বাচন ছাড়া সংস্কারটা ধরে রাখা যাবে না : সারোয়ার তুষার Oct 21, 2025
img
নির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণ দিতে রাজি নয় আইএমএফ Oct 21, 2025
img
ড. ইউনূসকে ৬ মানবাধিকার সংস্থার চিঠি: আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান Oct 21, 2025
img
বাদাম খাওয়ার সঠিক উপায় জানলে কমবে ওজন, বাড়বে শক্তি Oct 21, 2025