১৬ বছরে দেশে শিক্ষার মান বাড়েনি : চসিক মেয়র

শিক্ষায় মান বৃদ্ধির আহবান জানিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, গত ১৬ বছরে দেশে শিক্ষার হার কাগজে-কলমে বৃদ্ধি পেলেও শিক্ষার মান বাড়েনি। যে কারণে বিপুল পরিমাণ উচ্চশিক্ষিত তরুণ বেকারত্বে ভুগছে। এ জন্য শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। বিনিয়োগ বাড়াতে হবে কর্মমুখী শিক্ষায়।

পাশাপাশি বিদেশে যে প্রবাসীরা যাচ্ছে তাদেরও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে উপমহাদেশে অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষার প্রবক্তা এবং চট্টগ্রাম পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নুর আহমদ চেয়ারম্যানের ৬১ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মরহুমের কবর জেয়ারত, পুষ্পমাল্য অর্পণের পর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় নূর আহমদ চেয়ারম্যানের অবদানকে তরুণ প্রজন্মের কাছে চিরস্মরণীয় করে রাখতে নগরীতে তার নামে গোলচত্বর করার ঘোষণা দেন সিটি মেয়র।

চসিক সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আরো বলেন, নূর আহমদ চেয়ারম্যান ৩৩ বছর পৌরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে পৌরসভার এক নবদিগন্তের সূচনা করেছিলেন।

মরহুম নূর আহমদ চেয়ারম্যান অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তনে যে অবদান রেখেছেন তা স্মরণীয়। তিনি চট্টগ্রামবাসীসহ সারা দেশে সমাজ সংস্কারে যে অবদানগুলো রেখে গেছেন তার সুফল আমরা এখনো ভোগ করে যাচ্ছি।

নগরীর শিক্ষাখাতকে ঢেলে সাজাতে সব ধরনের সহযোগিতার ঘোষণা দিয়ে মেয়র বলেন, বাংলাদেশের সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে একমাত্র চসিকই শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করে থাকে। বর্তমানে ৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় ৬৫ হাজার শিক্ষার্থীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করছে চসিক।

এক্ষেত্রে প্রতি বছর যে ভর্তুকি দিতে হয় সেটিকে আমি ব্যয় মনে না করে বিনিয়োগ মনে করি। কারণ শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে তারা ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম ও সর্বোপরি দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে। প্রতি মাসে চসিককে ছয় থেকে আট কোটি টাকা শিক্ষা খাতে ব্যয় করতে হয়, যা আসলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ।

আলোচনা সভায় নূর আহমদ চেয়ারম্যানের অবদানের উপর স্মৃতিচারণ করেন তার দৌহিত্র এস এম সালাউদ্দীন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, নূর আহমদের দৌহিত্র এস এম নাসিরুদ্দিন আল মামুন প্রমুখ।

আইকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন প্রয়োজন : নাহিদ ইসলাম Oct 22, 2025
img
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রিজনভ্যান মোটেও বড় কোনো ইস্যু নয় : জাহেদ উর রহমান Oct 22, 2025
img
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোটের দাবি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী Oct 22, 2025
img
বৃহস্পতিবার আসছে নতুন ব্যান্ড লেজি ডাইনোসের গান 'রাত' Oct 22, 2025
img
এবার মেসির রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে হলান্ড Oct 22, 2025
img
আবারও বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামের পরিবর্তন Oct 22, 2025
img
গৃহকর্মীদের কাছ থেকে ফি নেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করল সৌদি আরব Oct 22, 2025
img
বাস্তবায়ন নিশ্চিত হলেই সনদে সই করবে এনসিপি, ইসি পুনর্গঠনের দাবি Oct 22, 2025
img
কাজ করলে সমালোচনা থাকবেই, ওসব নিয়ে মাথা ঘামাই না : দীঘি Oct 22, 2025
img
আবারও বাবা হলেন সংগীতশিল্পী আরফিন রুমি Oct 22, 2025
img
শিল্পা শেঠির রেস্তোরাঁয় এক রাতে ২-৩ কোটি রুপি আয়! Oct 22, 2025
img
ওআইসি দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের আহ্বান উপদেষ্টা রিজওয়ানার Oct 22, 2025
img
আগামীকাল সিইসির সঙ্গে দেখা করবে বিএনপির প্রতিনিধিদল Oct 22, 2025
img
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য স্থগিত শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ Oct 22, 2025
img
বাংলাদেশ ভলিবলের জন্য ঐতিহাসিক দিন: বিমল ঘোষ Oct 22, 2025
img
থানায় ঢুকে পুলিশের ওপর হামলা, সাবেক শিবির নেতা আটক Oct 22, 2025
img
পিসিবির গুরুত্বপূর্ণ পদে আসছেন মিসবাহ! Oct 22, 2025
img
শুধু ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে সেন্টমার্টিন দ্বীপে রাত্রিযাপনের অনুমতি Oct 22, 2025
img
নির্বাচনের তফসিলের আগে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরুর দাবি Oct 22, 2025
img
রোহিত-কোহলিকে বাতিলের খাতায় ফেলতে চান না পন্টিং Oct 22, 2025