স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের শর্ত দিলে সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েল কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বাজায়েল স্মোরিচ। এছাড়া সৌদির নেতাদের নিয়ে কটাক্ষও করেছেন এ দখলদার।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এক অনুষ্ঠানে স্মোরিচ বলেন, “যদি সৌদি আরব আমাদের বলে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের বদলে তারা আমাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে। আমি বলব, বন্ধুরা- না ধন্যবাদ। সৌদি আরবের মরুভূমিতে উটে চড়া অব্যাহত রাখুন।”
সৌদি আরবের নেতাদের নিয়ে স্মোরিচের এমন মন্তব্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে। তিনি এমন সময় এসব কথা বললেন যখন আগামী মাসে সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান যুক্তরাষ্ট্রে সফরে যাবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
তার এ সফলে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে। যদিও সৌদি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে যখন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হবে ঠিক তখন ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে তারা। এরআগে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক হবে না।
বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আগামী ১৭ নভেম্বর ক্রাউন প্রিন্স যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাবেন। তিনি পরের দিন ট্রাম্পের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা বিষয়ে কথা বলবেন।
২০১৮ সালে তুরস্কে সৌদির দূতাবাসে সাংবাদিক ও ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয়। ধারণা করা হয়, প্রিন্স সালমানের সরাসরি নির্দেশনায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। এরপর আর যুক্তরাষ্ট্রে যাননি সালমান।
২০২১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে বলা হয়, জামাল খাসোগিকে হত্যা পরিকল্পনায় প্রিন্স সালমান নিজে অনুমোদন দিয়েছিলেন। যদিও সৌদি এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল।
কিছু সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সালমানের এ সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদির মধ্যে নিরাপত্তা চুক্তি হতে পারে।
চলতি মাসে কাতারের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি হয় যুক্তরাষ্ট্রের। সৌদির সঙ্গে মার্কিনিদের এখন একই ধরনের চুক্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাতারের সঙ্গে চুক্তিতে বলা হয়েছে, দেশটির ওপর যদি কোনো হামলা হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে যাবে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
টিকে/