ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘আমরা আন্দোলন করি, সংগ্রাম করি কিন্তু কেন পরিবর্তন আসে না? কারণ আমাদের ভেতরে প্রকৃত পরিবর্তন নেই। জীবন দিলেও যদি চরিত্র না বদলায়, ভাগ্যও বদলাবে না।’
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে কুমিল্লা নগরীর কচুয়া চৌমুহনীতে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়জুল করীম বলেন, ‘এক বছর না যেতেই আবার সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি শুরু হয়ে গেছে। তাহলে কিসের পরিবর্তন হলো? আমরা বারবার হোঁচট খাই, ব্যর্থ হই, কিন্তু শিক্ষা নিই না। একটা গরু যদি একবার চিটা খায়, সে দ্বিতীয়বার খায় না। অথচ আমরা গরুর চেয়েও খারাপ, কুকুরের চেয়েও খারাপ, কারণ বারবার একই ভুল করি।’
তিনি বলেন, ‘নেতা অন্যায় করে জেলে যায়, পরে বের হলে আমরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করি। ফুল দেওয়া অন্যায় নয়, কিন্তু অন্যায়কারীর প্রতি সম্মান দেখানো অন্যায়। অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়েই আমরা সমাজে অন্যায়কে টিকিয়ে রাখি। আমি বলি, সব দোষ জনগণের। যদি জনগণ ঘুষ প্রত্যাখ্যান করত, তাহলে কোনো দলের নেতাই দুর্নীতি করতে পারত না।
জনগণ চাইলেই সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা সম্ভব।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই নেতা বলেন, ‘ভোটের সময় টাকার বস্তা নিয়ে আসবে, তখন যদি তোমরা গরু-ছাগলের মতো বিক্রি হও, তাহলে অন্তত ভালো দামে বিক্রি হও। কিন্তু যারা মানুষ, তারা কখনো টাকার বিনিময়ে ভোট বিক্রি করে না। মনে রেখো, ভোট মানে তোমার ভবিষ্যৎ। আর দেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তন তোমাদের হাতেই। জনগণ চাইলে এই শাসনও পরিবর্তন করতে পারে। পরিবর্তন শুরু করতে হবে নিজের ভেতর থেকে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা মহানগরের উদ্যোগে ‘পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বান, প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার ও খুনিদের দৃশ্যমান বিচারের’ দাবির সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইয়ুম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা মহানগরের প্রধান উপদেষ্টা কামরুল হাসান খান (খোকন) এবং কুমিল্লা-৬ আসনের ঘোষিত সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা মহানগরের সভাপতি এম এম বিলাল হোসাইন। সমাবেশ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
কেএন/টিকে