গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন গোবিন্দ: কন্যা টিনা শোনালেন ভয়ংকর অভিজ্ঞতা

গত বছরের অক্টোবর মাসে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা গোবিন্দ। আহত হয়ে গুরুতর অবস্থায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গোবিন্দর পায়ে গুলি লাগে এবং এরপর তার হাঁটুর ওপর জরুরি অস্ত্রোপচারও করা হয়। তবে এই ভয়াবহ ঘটনার পরেও গোবিন্দ কখনো তার অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খোলেননি। সম্প্রতি গোবিন্দর কন্যা টিনা আহুজা প্রথমবারের মতো সেই দিনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

টিনা জানান, গুলির আঘাতের পর গোবিন্দর সাদা পোশাক রক্তে ভিজে গিয়েছিল। টিনা বলেন, সেই মুহূর্তটা আমি কখনও ভুলতে পারব না। আমি তখন শুধু ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছিলাম, যেন বাবা সুস্থ হয়ে যান। প্রথম কয়েকদিন আইসিইউতে থাকতে হয়েছিল। বাবা তেমন কিছু জানতেন না, তবে ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হতে থাকে।

টিনা আরও বলেন, বাবার এই পরিস্থিতি দেখে আমি খুব দুঃখিত ছিলাম। বাবা খুব কড়া এবং তিনি ওষুধ নিয়েও প্রচুর বাছবিচার করতেন। স্যালাইন নিতে চাইছিলেন না, অ্যান্টিবায়োটিকও নিতে চাইছিলেন না। এসব দেখে মন খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। একদিকে বাবা, যে কিছুদিন আগে কলকাতায় অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল, অন্যদিকে এই দুঃসহ পরিস্থিতি।



টিনা বলেন, সিনেমায় যেমন বাবা একে একে বিভিন্ন চরিত্রে সাজেন, ঠিক তেমনই সেদিনও সাদা প্যান্ট, সাদা টি-শার্ট আর সাদা জ্যাকেট পরেছিলেন। গুলির আঘাতে তার সাদা জিন্স সম্পূর্ণ লাল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাবার লড়াই করার সাহস দেখে আমি মুগ্ধ। আমি তাকে বলেছিলাম, তুমি সত্যিই একজন যোদ্ধা, তোমার সাহস দেখিয়ে তুমি আবার আমাদের মাঝে ফিরেছো।

এ ছাড়া টিনা জানালেন, হাসপাতাল থেকে বাবাকে সুস্থ করে তোলার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রতিদিন প্রার্থনা করেছেন তিনি। 

বাবার ফিরে আসার পরে, শুধু এইটুকুই চাওয়া ছিল এবং ঈশ্বরের কৃপায় তিনি ফিরে এসেছেন, বলেন টিনা।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নির্বাচিত সরকারই দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে পারে : সালাউদ্দিন টুকু Oct 25, 2025
img

যুক্তরাষ্ট্রের মনোনীত রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র Oct 25, 2025
img
লিবিয়ায় অনিয়মিতভাবে অবস্থান করা ৩০৯ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরল Oct 25, 2025
img
বাংলাদেশ আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও নির্ভরযোগ্য উন্নয়ন সহযোগী : মালদ্বীপের মন্ত্রী Oct 25, 2025
img
দু-একটি দল ফ্যাসিস্ট আ.লীগের সঙ্গে আঁতাত করছে: মির্জা আব্বাস Oct 25, 2025
img
মানুষ কাকে ভালোবাসবে, তার কোনো সিলেবাস হয় না: রুদ্রনীল ঘোষ Oct 25, 2025
img
ইসরায়েলকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশকে এরদোয়ানের আহ্বান Oct 25, 2025
img
বাংলাদেশি টাকার আজকের মুদ্রা বিনিময় হার Oct 25, 2025
img
২২ দিনের ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা শেষ, ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা জেলেদের Oct 25, 2025
img
অশালীন কনটেন্ট নয়, পারিবারিক বিনোদনই পছন্দ রাজপালের Oct 25, 2025
img
মোবাইল নির্ভর সম্পর্ক এখন অস্থির ও অগভীর : আদিত্য রায় কাপুর Oct 25, 2025
img
সাফল্যের নেশায় নয়, মাটির কাছাকাছি থাকতে চান অনুপম রায় Oct 25, 2025
img
সৌদি সফরে যাচ্ছেন না প্রধান উপদেষ্টা, যাবে প্রতিনিধি দল Oct 25, 2025
img
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৭ Oct 25, 2025
img
অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের শেষ ওয়ানডে ম্যাচ আজ Oct 25, 2025
img
বিশ্ববাজারে আবারও বাড়ছে স্বর্ণের দাম Oct 25, 2025
img
ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Oct 25, 2025
img
চুয়াডাঙ্গায় জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির ৯১ নেতা-কর্মী Oct 25, 2025
img
টেস্ট অধিনায়ক শান মাসুদের হাতে নতুন দায়িত্ব দিল পিসিবি Oct 25, 2025
তিন তারকা এক নতুন মিশনে একজোট! Oct 25, 2025