পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। সরকার পার্বত্য অঞ্চলে মানসম্মত শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উন্নয়ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুর শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারে আয়োজিত কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এ বছর নভেম্বরের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিজিটালাইজড করা হবে।
ইতিমধ্যে অধিকাংশ স্থানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ডিজিটাল কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বছরের নভেম্বরের মধ্যে ১০০টি স্কুলে ডিজিটাল কার্যক্রম চালু করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে টেকসই উন্নয়নের জন্য মানসম্মত শিক্ষা অত্যন্ত জরুরি। তিনি আরো বলেন, আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের ছেলেমেয়েরা ভালো করছে, সুযোগ পেলে আরো ভালো করবে।
লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্টকে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হিসেবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়ন অপরিহার্য। পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনো মানসম্মত স্কিম গ্রহণ করা হয়নি, তাই সংশ্লিষ্টদের বাস্তবসম্মত ও লাইভলিহুড ভিত্তিক স্কিম গ্রহণের নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।
তিনি জানান, আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সঠিক উদ্যোগ স্থানীয় অর্থনীতিকে সচল করতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সুপ্রদীপ চাকমা আরো জানান, লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্টে মোট বরাদ্দের ৪০ শতাংশ ব্যয় করা হবে এবং প্রকল্পের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
পার্বত্য অঞ্চলের জন্য বরাদ্দকৃত ৫৩০ কোটি টাকা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের মাঝে যথাযথভাবে বণ্টন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভান্তে প্রজ্ঞানন্দ মহাথের, বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ভিক্ষুগণ এবং সমাজের সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
ইএ/টিকে