আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পদে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন সাবেক মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তিনি বলেছেন, তিনি আবারও হোয়াইট হাউস দখলের লড়াইয়ে নামতে পারেন। বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে যাওয়ার পর বিবিসিকে এটা তার প্রথম সাক্ষাৎকার। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার করা হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তিনি ‘হয়ত’ একদিন প্রেসিডেন্ট হবেন এবং তিনি এ ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী যে, ভবিষ্যতে হোয়াইট হাউসে একজন নারী প্রেসিডেন্ট থাকবেন আর সেই ব্যক্তিটি হবেন তিনি।
২০২৮ সালের নির্বাচনে ফের প্রার্থিতা জানানোর এটাই তার সবচেয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত। যদিও সাম্প্রতিক জরিপগুলোতে ডেমোক্রেটিক দলের পরবর্তী প্রার্থী হিসেবে তাকে পিছিয়ে রাখা হয়েছে, তবে এসব জরিপকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না তিনি।
বিবিসির ‘সানডে উইথ লরা কুয়েনসবার্গ’ অনুষ্ঠানে দেয়া সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তার সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প সম্পর্কে যে সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক বছর আগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর ডেমোক্র্যাটরা এখনও তাদের পরাজয়ের কারণ খুঁজছে, যেখানে বেশিরভাগ দায় দেয়া হচ্ছে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর। কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে আগেই প্রার্থিতা থেকে সরে না দাঁড়ানোর জন্য।
তবে এমন প্রশ্নও উঠেছে, পরে প্রার্থী হওয়া হ্যারিস কি আরও ভালোভাবে প্রচারণা চালাতে পারতেন? বিশেষ করে অর্থনীতি ইস্যুতে তার বার্তা কি আরও পরিষ্কার হওয়া উচিত ছিল? এসব আলোচনা ও বিতর্কের মধ্যেই বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে হ্যারিস আবারও প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইয়ে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন।
তবে তিনি জানান, এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। কিন্তু রাজনীতিতে তার ভূমিকা এখনও শেষ হয়নি। তার কথায়, ‘আমার লড়াই এখনও শেষ হয়নি। আমার পুরো জীবনটাই জনগণের সেবার জন্য নিবেদিত—এটা যেন আমার অস্থিমজ্জায় মিশে আছে।’
বর্তমান জরিপে তিনি এমনকি হলিউড অভিনেতা দ্য রক খ্যাত ডোয়েন জনসনের চেয়েও পিছিয়ে আছেন। এ বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে হ্যারিস বলেন, ‘আমি কখনোই জরিপের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নিইনি। যদি শুনতাম, তাহলে প্রথমবারে এ পদে লড়তাম না, এমনকী হয়তো ভাইস প্রেসিডেন্ট পদেও নয়—আর অবশ্যই আজ এই জায়গায় থাকতাম না।’
ইএ/টিকে