অখণ্ড কিশোরগঞ্জ বাস্তবায়নের দাবিতে ফের আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রীরা

অখণ্ড কিশোরগঞ্জ বাস্তবায়নের দাবিতে আবারও আন্দোলনে নেমেছে ছাত্র-জনতা। বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে শহরের ঐতিহ্যবাহী গুরুদয়াল সরকারি কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্য বিনষ্টের যে কোনো প্রচেষ্টা জেলার মানুষের আবেগ ও আত্মপরিচয়ের ওপর আঘাত। বক্তারা ভৈরবে সোমবারের (২৭ অক্টোবর) ট্রেনে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক জগলুল হাসান চয়ন, কিশোরগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন, সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্স, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মিয়া, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হক নাঈম ও শেখ মুদাছির তুশি, কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নুসরাত জাহান, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি সালমান এম সাকিব প্রমুখ।
বক্তব্যে জগলুল হাসান চয়ন বলেন, ঐতিহাসিক কিশোরগঞ্জ জেলার বিভক্তি বা নতুন জেলা ঘোষণার যে কোনো উদ্যোগ জেলার ঐক্য ও সম্প্রীতিকে ক্ষুণ্ন করবে। ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিকভাবে কিশোরগঞ্জ একটি অবিচ্ছেদ্য জেলা। তাই অখণ্ড কিশোরগঞ্জ বজায় রাখা কিশোরগঞ্জবাসীর ন্যায্য দাবি।

নুসরাত জাহান বলেন, আমরা কোনো বিভাজন চাই না। ভৈরব বা কিশোরগঞ্জ সবাই একই জেলার মানুষ। যারা বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়, তারা জেলার শান্তি নষ্ট করতে চায়। ইকরাম হোসেন বলেন, ভৈরবের ট্রেনে হামলার ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। যারা অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কাজ করছে, তাদের বিচার চাই।

একই সুরে শেখ মুদাছির তুশি বলেন, অখণ্ড কিশোরগঞ্জ শুধু প্রশাসনিক দাবি নয়, এটি আমাদের ঐতিহ্য ও পরিচয়ের প্রশ্ন। সম্প্রীতি ও ঐক্য রক্ষা করতে হলে সবাইকে একসঙ্গে থাকতে হবে। আন্দোলনের শেষে বক্তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, অখণ্ড জেলার দাবি মেনে নিয়ে কিশোরগঞ্জের মানুষের শান্তি, ঐক্য ও সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ রাখতে সঠিক ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এবি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
অ্যাক্টিভিস্ট রাকিব আল হাসানের বাবা ডিবি হেফাজতে Dec 15, 2025
img
হাদির পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন, মঙ্গলবার সকালে জানা যাবে রিপোর্ট Dec 15, 2025
img
বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রাশিয়ান হাউসের Dec 15, 2025
img
নোবেল নিতে যাওয়ার সময় আহত হলেন মাচাদো Dec 15, 2025
img
‘স্পিরিট’-এ ২০০ ফাইটারের বিপরীতে প্রভাসের শক্তিশালী পারফরম্যান্স Dec 15, 2025
img
শীত বিলাসের জোর দাবি জানালেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ Dec 15, 2025
img
বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ জিততে দেখতে চান শোয়েব আখতার Dec 15, 2025
img
হিংসা নয়, বাঁধনের সৌন্দর্যে মুগ্ধ দীপা খন্দকার Dec 15, 2025
img
নাগা চৈতন্য ও সোবিতা ধুলিপালার পরিবারে আসছে নতুন অতিথি Dec 15, 2025
img
জানা গেলো নরেন্দ্র মোদি ও লিওনেল মেসির সাক্ষাৎ বাতিলের কারণ Dec 15, 2025
img
বিগ বসের বিতর্ক পেরিয়ে পরিবারের কাছে ফিরলেন তান্যা Dec 15, 2025
দুবাইয়ের গ্লোবাল ভিলেজে এক রাতে বাংলাদেশসহ ৭ দেশের নববর্ষ উদযাপন Dec 15, 2025
img
রাজবাড়ীতে পদ্মার ১৫ কেজির কাতল ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি Dec 15, 2025
img
অপমান সামলানোর সহজ পথ দেখালেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় Dec 15, 2025
img
দেশকে ভারতের করদরাজ্য করার চেষ্টা সফল হতে দেব না: গোলাম পরওয়ার Dec 15, 2025
img
আমরা আওয়ামী লীগকে কখনই মেনে নেব না : রাশেদ খান Dec 15, 2025
img
গণতন্ত্রকামী জনগণকে যারা ভয় দেখাতে চায়, তারা ব্যর্থ হবে : তারেক রহমান Dec 15, 2025
img
পঞ্চগড়-১ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম কিনলেন সারজিস আলম Dec 15, 2025
img
ডিসেম্বরের ১৪ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এলো ১৭০ কোটি ডলার Dec 15, 2025
img
চমকের ফোন নম্বর ফাঁস, বান্নাহ ও অনন্য মামুনকে হুমকি Dec 15, 2025