রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভিডিওতে আসবেন না। কোনোভাবেই আসবেন না। তার এখন যে পরাজিত বিধ্বস্ত মৃত চেহারা, সেটা নিয়ে তিনি জনগণের সামনে আসবেন না। আমি প্রায় বলছি, শেখ হাসিনাকে কথা বলতে দেওয়া, তার কথা শোনা—এটা নরমালাইজেশনের ব্যাপার নয়।’
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেল এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, তার (শেখ হাসিনা) ইন্টারভিউ যদি নেওয়া হয়, সেটা আমি নিশ্চয়ই দেখব। সেটি নিয়ে কথা বলব। কথা বলছেনও অনেকে এবং বলা দরকার।
তার কর্মকাণ্ড, ভবিষ্যতে কী করতে চান, না চান। অন্তত কিভাবে প্রিটেন্ড করতে চান, নিজেকে কিভাবে উপস্থাপন করতে চান—এগুলোর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ইম্প্যাক্ট আছে।’
তিনি বলেন, “একটা ইন্টারভিউতে তিনি (হাসিনা) বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ দেশের ভবিষ্যৎ ভূমিকা পালনে ফিরে আসবে। সেটা সরকারে হোক, আর বিরোধী দলে হোক।
আর তার পরিবারের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি আরো বলেন, ‘এটা আমি বা আমার পরিবারের ব্যাপার নয়। বাংলাদেশ যে ভবিষ্যৎ চায়, তা অর্জন করতে হলে সাংবিধানিক শাসন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতেই হবে। কোনো একক ব্যক্তি বা পরিবার দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে না’।”
ডা. জাহেদ বলেন, ‘আমাদের মনে হয়েছে তার কর্মকাণ্ড দেখে, যখন তিনি রিপিটেডলি কথা বলছেন, তাতে মনে হতে পারে যে তিনি নেতৃত্বটা হাতে ধরে রাখার জন্য, তার অবর্তমানে বাংলাদেশে যারা আছেন তাদের দিয়ে কোনো ফর্মে একটা আওয়ামী লীগ তৈরির চেষ্টা হয় কি না, সেটা রুখে দেওয়ার জন্যই তিনি ক্রমাগত কথা বলে গেছেন। তথাকথিত কর্মসূচি পালন করতে নেতাকর্মীদের উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি (হাসিনা) একটা আন্তর্জাতিকভাবে ইঙ্গিত দিলেন, সবগুলো কনটেক্সট যদি আমরা একত্র করি, রিফাইনড আওয়ামী লীগের আলাপটা আমরা আনতে পারব।’
ইএ/টিকে