শরীরকে সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখার জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হলুদ ও আমলকীর পানি পান করা বিশেষভাবে কার্যকর বলে মনে করা হচ্ছে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, হলুদে থাকা কারকিউমিন শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, আর আমলকী ভিটামিন সি সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক টনিক।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত এই পানীয় গ্রহণ করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, হজম শক্তি ভালো থাকে, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত হয়। মূল উপকারিতাগুলো হলো—
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: হলুদ ও আমলকী একত্রে শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
বিষমুক্তি: লিভারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়, ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল থাকে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: বিপাক বৃদ্ধি করে এবং চর্বি পোড়ানোর প্রক্রিয়া সক্রিয় করে।
পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য: গ্যাস, এসিডিটি ও বদহজম কমায়।
ত্বক ও চুলের যত্ন: ত্বক উজ্জ্বল করে এবং চুল মজবুত রাখে।
জয়েন্ট ব্যথা উপশম: হলুদের প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য আর্থ্রাইটিস ও জয়েন্ট ব্যথা হ্রাস করে।
রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ: ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে, ডায়াবেটিক রোগীদের উপকারে আসে।
প্রাচীনকাল থেকে হলুদের ব্যবহার নানা রোগ প্রতিরোধে জনপ্রিয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কাঁচা হলুদ বা হলুদ গুঁড়া নিয়মিত খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় এবং অনেক ধরনের জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
তাদের পরামর্শ, প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানির সঙ্গে এক চামচ হলুদ ও এক চামচ আমলকীর রস মিশিয়ে খাওয়া উচিত। এটি একটি প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর টনিক হিসেবে কাজ করে।
এমকে/এসএন