ইউজিসির কাছে ৬ দাবি সিটি ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের

সাভারের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সংঘর্ষ ও উত্তেজনার ঘটনায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছে ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এই দাবিগুলো তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ড্যাফোডিল প্রশাসনের আনা অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেন। তারা জানান, ঘটনার পর থেকে সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে সাইবার বুলিং করা হচ্ছে।

ইংরেজি বিভাগের ৬০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাঈম ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি পেশ করেন।

দাবিগুলো নিম্নরূপ:
১. ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষকে অগ্নিসন্ত্রাস, লুটপাট ও মিথ্যাচারের দায় স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।

২. হামলায় আহত সিটি ইউনিভার্সিটির সব শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বহন করতে হবে এবং ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত সিটি ইউনিভার্সিটির অবকাঠামো ও বিনষ্ট পরিবহনগুলোর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৩. যেসব ড্যাফোডিল শিক্ষার্থী সরাসরি এই ধ্বংসযজ্ঞে জড়িত এবং যারা বিভিন্ন মাধ্যমে ছাত্রদের উসকে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট তদন্তের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে।

৪. হামলার রাতে বারবার সহযোগিতা চাওয়ার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা না পাওয়ার কারণ খতিয়ে দেখতে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে এবং দায়িত্ব অবহেলার শাস্তি বিধান করতে হবে।

৫. উক্ত ঘটনায় প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাসোসিয়েশন (এপিইউবি)-এর সভাপতি সবুর খানের নীরবতা পক্ষপাতদুষ্টতাকে প্রমাণ করে, তাই শিক্ষার্থীরা তার অপসারণ দাবি করেন।

৬. শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ে ক্লাসে ফিরে যেতে চান। তবে দাবিগুলো পূরণ হওয়ার পরই উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম একসঙ্গে শুরু করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো নিরপেক্ষ সমাধান না হয়, তবে তারা ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
টলিউডে রাজনীতি ছিল, তবে এতটা প্রকাশ্যে নয়: পাওলি দাম Oct 31, 2025
img
ফ্যাসিবাদ সরকার যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ফেলে গেছে: শামা ওবায়েদ Oct 31, 2025
img
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে: নির্বাচন কমিশনার Oct 31, 2025
img
আসন্ন নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ফেক নিউজ : শফিকুল আলম Oct 31, 2025
img
মোবাইল ফোন হারালে ব্লক করার প্রক্রিয়া Oct 31, 2025
img
ভেনেজুয়েলায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র Oct 31, 2025
img
চরমপন্থা-সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার Oct 31, 2025
img
মহানগর ও বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিটে চালু হচ্ছে নতুন পোশাক Oct 31, 2025
img
ডাচ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে রব জেটেন Oct 31, 2025
img
কুয়েতে দুর্ঘটনার কবলে কিংসের বাস, অনুরোধ রাখেননি ম্যাচ কমিশনার Oct 31, 2025
img
তদন্তের মধ্যেই হাসপাতালে ছুটলেন শিল্পা শেঠি Oct 31, 2025
img
আমি যখন কোনো সম্পর্কে থাকি তখন আমার পুরোটা দিই: তামান্না ভাটিয়া Oct 31, 2025
img
দলগুলো ঐকমত্যে আসতে না পারলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: হাসনাত Oct 31, 2025
img
জবি ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদের পদত্যাগ, পরে ডিলিট করলেন পোস্ট Oct 31, 2025
img
যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা লুটপাট দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়ন করেছে : এ্যানি Oct 31, 2025
img
১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়ন কাজ যাচাইয়ে ডিএনসিসির কমিটি গঠন Oct 31, 2025
img
জিম্বাবুয়েকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত আফগানিস্তানের Oct 31, 2025
img
খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল এক পর্যটকের Oct 31, 2025
img
সিলেটের জালাল আহমেদ ও যীশুসহ ১০ ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা-কর্মচারী পেলেন বিশেষ সম্মাননা Oct 31, 2025
img
তেল আবিবের সমুদ্র সৈকতে নেতানিয়াহুর ব্যঙ্গচিত্র Oct 31, 2025