প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে ফেক নিউজ বা ভুয়া সংবাদ। প্রতিদিন শত শত নিউজ প্রকাশিত হচ্ছে, যার মধ্যে অনেকগুলোতেই সত্য-মিথ্যা মিশে যায়—ফলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (নোবিপ্রবিসাস) এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে বার্ষিক প্রকাশনা ‘ফাউন্টেন পেন’-এর মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় সসম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, আমরা সত্য চাই। সেই সত্য যদি আমার বিরুদ্ধে যায়, আমাকে হিউমিলিয়েট (অপমানিত বা লজ্জিত করা) করে, তাও সত্যটা আসুক—আমরা সেটা চাই। কিন্তু যারা সত্যকে বিকৃত করে মিথ্যা সংবাদ ছড়ায়, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা প্রয়োজন।
প্রেস সচিব আরও বলেন, ভুয়া সংবাদ সমাজে অনাচার ও বিভ্রান্তি বাড়াচ্ছে। তাই আমাদের দেশে এখন আরও বেশি ফ্যাক্টচেকার দরকার। প্রয়োজনে ঢাকার বিশেষজ্ঞদের এনে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে। অনেক তরুণ সাংবাদিক রয়েছেন, যারা এ প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী—তাদের সুযোগ দিতে হবে।
নোয়াখালীর জুলাই আন্দোলনের স্মৃতি স্মরণ করে তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময় নোবিপ্রবির সাংবাদিকরা নানা বাধা পেরিয়ে মাঠে ছিলেন। নোয়াখালীর ২৫ জন শহীদ হয়েছেন—তাদের আত্মত্যাগ সারাজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের ফসলই হচ্ছে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমরা চাই, দেশের যে কোনো স্থানের সাংবাদিকরা, তা সে ক্যাম্পাস সাংবাদিক হোক বা জাতীয়—নির্ভয়ে কাজ করতে পারেন। কিন্তু এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সোশ্যাল মিডিয়ার ফেক নিউজ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিহার্য।
নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক এবং প্রক্টর ও সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টা এ এফ এম আরিফুর রহমান।
এর আগে, এক বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে সমিতির এক যুগ পূর্তি উদযাপন করা হয়। পরে আলোচনা সভায় ছয়জন ক্যাম্পাস সাংবাদিককে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বর্ষসেরা সাংবাদিক পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আরপি/টিকে