সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ‘প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশের ভেতরে এবং বাইরে অতি আশ্চর্যজনক ঘটনাগুলো ঘটছে। নানা রকম গুজব, ভয়ভীতি, আতঙ্ক, অনিশ্চয়তা এবং এমন কতগুলো সমস্যা যা এই বাংলাদেশে কখনো হয়নি, সেগুলো ঘটে যাচ্ছে অহরহ।’
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সঙ্গে এখন কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক থাকার কথা নয়। এত বড় একটা গণঅভ্যুত্থান, এত বড় একটা বিপ্লবের পরে যে সরকারের পতন হলো, সেই সরকার নিয়ে, সেই সরকারপ্রধান নিয়ে কেন আতঙ্ক থাকবে? কেন তাদেরকে নিয়ে কথা বলতে হবে এবং রাজনীতিতে কেন বারবার তাদের প্রসঙ্গ আসবে? ইতিবাচক আসুক, নেতিবাচক আসুক, আলোচনায় কেন আওয়ামী লীগে আসবে? এটা হলো আমাদের দেশের রাজনীতির অষ্টম আশ্চর্য, যেটা অতীতে কখনো ঘটেনি।’
রনি বলেন, শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই দেখা গেল, নানা রকম কথাবার্তা বাড়তে বাড়তে এখন এমন একটা জায়গায় চলে এসেছে, যেটি রীতিমতো একটি ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে এগুচ্ছে। আপনারা সবাই লক্ষ্য করেছেন যে, রাষ্ট্রশক্তি যখন কোন কিছুকে নিষিদ্ধ করে এবং জনগণ যখন অন্তর থেকে পুরো জিনিসগুলো মুছে দেয়, তখন মিডিয়াগুলোও ওটাকে অ্যাভয়েড করে।’
‘কিন্তু পশ্চিমা দুনিয়া বাংলাদেশের মতো নয়। পশ্চিমা দুনিয়ায় যে মিডিয়া তারা এতটা স্বাধীন, এতটা সার্বভৌম যে সরকারকে অনেক সময় তারা উৎখাত করে ফেলে।
সরকার কখনো মিডিয়ার উপর কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে পারে না। বরং মিডিয়া সরকারের উপরে সবকিছু চাপিয়ে দেয়। তো সেই আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে একেবারে রাতারাতি শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার ছাপা হলো এবং একই দিনে।’
রনি বলেন, ‘এএফপি ফ্রান্সের বিখ্যাত মিডিয়া, ইন্ডিপেনডেন্ট ইংল্যান্ডের প্রথম শ্রেণীর গণমাধ্যম, এপি আমেরিকার গণমাধ্যম, রয়টার্স ব্রিটেনের বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম।
এর বাইরে ফ্রান্সের আরো কয়েকটি পত্রিকা এএফপির বরাতে খবর প্রকাশ করেছে এবং ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী পত্রিকা হিন্দুস্থান টাইমস শেখ হাসিনার বক্তব্য নিয়ে যে ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা রীতিমতো পশ্চিমাদেরকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছে।’
পিএ/টিএ