২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের স্বপ্নপূরণের নেপথ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল নামটি ছিল দীপ্তি শর্মা। টুর্নামেন্টজুড়ে ব্যাট-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে ভারতের এই তারকা অলরাউন্ডার জিতে নিয়েছেন প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট পুরস্কার। বছরের পর বছর পরিশ্রম, অভিজ্ঞতা আর মানসিক দৃঢ়তার এক অসাধারণ বহিঃপ্রকাশই দেখা গেছে তার খেলায়।
টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে দীপ্তির সংগ্রহ ২১৫ রান।
তিনটি অর্ধশতক এসেছে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, তার একটি আবার ফাইনালে। ধীরে শুরু করে ইনিংস গড়া কিংবা শেষের দিকে দ্রুত রান তুলে দলকে চাঙ্গা করা, সব ভূমিকাতেই নিজেকে নিখুঁতভাবে মানিয়ে নিয়েছেন তিনি।
তবে দীপ্তি আসল দ্যুতি ছড়িয়েছেন বল হাতে। ২২ উইকেট নিয়ে তিনি হয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
তার টার্ন, ফ্লাইট আর নিখুঁত লাইন-লেন্থে বিপদে পড়েছে প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা। চাপের মুহূর্তে স্পেল দিতে পারার আশ্চর্য ক্ষমতাই তাকে ভারতের জয়ের অন্যতম প্রধান অস্ত্রে পরিণত করেছে।
নাবি মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ছিল দীপ্তির ক্যারিয়ারের সেরা প্রদর্শনীর একটি। দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডার যখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেছিল, তখনই জ্বলে ওঠেন তিনি।
লরা উলভার্টের মতো ফর্মে থাকা ব্যাটারকে ফিরিয়ে এনে ম্যাচ ভারতের দিকে ঘুরিয়ে দেন দীপ্তি, এরপর ধারাবাহিকভাবে আরো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন তিনি।
তার এই স্পেলেই ভারতের শিরোপা জয়ের পথ সুগম হয়ে যায়। ম্যাচ শেষে পুরস্কার মঞ্চে দাঁড়িয়ে দীপ্তি বলেন, ‘এটা একেবারে স্বপ্নপূরণের মতো অনুভূতি। ফাইনালে এমন পারফরম্যান্স দিয়ে দলকে সাহায্য করতে পারা সত্যিই অবিশ্বাস্য লাগছে।’
২০১৭ সালের ফাইনালের সেই হতাশা, যেখানে দীপ্তিও ছিলেন একাদশে, সেটির পর থেকেই তার পথচলায় ছিল দৃঢ় সংকল্প।
২০২৫-এ এসে সবকিছু পরিপূর্ণ হলো। সাফল্য উৎসর্গ করলেন বাবা-মাকে। দীপ্তি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, ম্যাচের সংখ্যা এবং মান দুটোই বেড়েছে। আর এই ট্রফিটা আমি আমার মা-বাবাকে উৎসর্গ করতে চাই।’
এমআর/টিকে