পার্বত্য চট্টগ্রামকে সম্প্রতি ভুলভাবে উপস্থাপন বিষয়ে সরকারের বিবৃতি

‘নেত্র নিউজ’ এর সাম্প্রতিক এক ফটো স্টোরি ফিচার বা নিবন্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘অধিকৃত’, ‘সামরিকীকরণ’ বা ‘সামরিক শাসনাধীন’ অঞ্চল হিসেবে ভুলভাবে উপস্থাপনের বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। এ ধরনের বর্ণনা প্রকৃত অর্থে ভুল, বিভ্রান্তিকর এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ এবং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশি জাতির প্রতি অসম্মানজনক।
সোমবার (০৩ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সাল হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম সর্বদা বাংলাদেশের সার্বভৌম ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং এখনও রয়েছে। এ অঞ্চলটি বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক কর্তৃত্বের অধীনে পরিচালিত হয়, সামরিক শাসনের অধীনে নয়। দেশের অন্যান্য অংশের মতোই শান্তি নিশ্চিত করতে, সব নাগরিককে সুরক্ষা দিতে এবং স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নকে সমুন্নত রাখতে সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী উপস্থিত রয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘পশ্চিম তীর’ বা অন্য কোনও অধিকৃত ভূখণ্ডের সঙ্গে তুলনাকরণ সরকার স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে। এ ধরনের উপমা ভিত্তিহীন এবং বাস্তবতার চরম বিকৃতি। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন একক রাষ্ট্র এবং এর সার্বভৌম ভূখণ্ডের কোনও অংশই কোনও ধরনের দখলদারিত্বের অধীনে নেই।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে, অন্তর্ভুক্তিমূলক মনোভাব গড়ে তুলতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের সব সম্প্রদায়ের কল্যাণ ও উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা মানবাধিকার সংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগের উপর বিশ্বাসযোগ্য, প্রমাণ-ভিত্তিক প্রতিবেদনকে স্বাগত জানাই। আজ পর্যন্ত এ অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক পদ্ধতিগত নির্যাতনের কোনও প্রমাণিত অভিযোগ বা যাচাইকৃত প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ শৈল্পিক সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে মূল্য দেয়। তবে এ ধরনের অভিব্যক্তি অবশ্যই দায়িত্ববোধ এবং তথ্যগত নির্ভুলতার ওপর ভিত্তি করে অনুশীলন করতে হবে। আমরা সমস্ত মিডিয়া এবং সৃজনশীল প্ল্যাটফর্মকে জটিল ঐতিহাসিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রতিবেদন তৈরির সময় যথাযথ নিয়মকানুন, পেশাদারিত্ব এবং সংবেদনশীলতা অনুশীলন করার আহ্বান জানাই।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, দল আপনাদের সম্মান দেবে: মির্জা ফখরুল Nov 04, 2025
img
কর্মকর্তাকে নিতে ৫ কিলোমিটার উল্টো পথে চলল ট্রেন! Nov 04, 2025
img
আরপিও চূড়ান্তের আগে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা জরুরি ছিল : সাইফুল হক Nov 04, 2025
img
সাবেক এমপি পোটনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দিলো দুদক Nov 04, 2025
img
আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ বাংলাদেশ ও আদানি গ্রুপ Nov 04, 2025
img
প্রতীক ভাড়া দেয়ার দিন শেষ: সারজিস আলম Nov 04, 2025
img
ফ্লোরাল শাড়িতে সৌন্দর্য আর অনাবিল আভায় সাফা কবির! Nov 04, 2025
img
দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তার পক্ষে কাজ করার আহ্বান আমিনুল হকের Nov 04, 2025
img
মনোনয়ন না পাওয়া নিয়ে রুমিন ফারহানার বার্তা Nov 04, 2025
img
৪ দিন নয়, ২ দিনের সরকারি সফরে পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি Nov 04, 2025
img
বাবার আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন দুই কন্যা Nov 04, 2025
img
পটুয়াখালী-১ ও ৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা Nov 04, 2025
img
ফরিদপুর-৪ আসনে বিএনপির ভরসা শহিদুল ইসলাম Nov 04, 2025
img
আগামী সপ্তাহে শেখ হাসিনার বিচারের রায় দেখবে জাতি: উপদেষ্টা মাহফুজ Nov 04, 2025
img
তুরস্কের চামলিজা মসজিদে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন ৬৩ হাজার মুসল্লি Nov 04, 2025
img
নির্বাচনে সমভোট পেলে অনুষ্ঠিত হবে পুনঃভোট Nov 04, 2025
img
মেক্সিকোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল পেরু! Nov 04, 2025
img

অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ

বেলজিয়ামকে ৩-২ গোলে হারাল আর্জেন্টিনা Nov 04, 2025
কুরআনের ব্যতিক্রমী একটি আয়াত | ইসলামিক জ্ঞান Nov 04, 2025
img
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে তুরস্ক Nov 04, 2025