ঢাবিতে ভাসমান কিছু থাকবে না, এটা মেনে নেওয়া যাবে না : জাহেদ উর রহমান

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকে একটা কথা বলেছি। কোথাও যদি মাদকের সমস্যা থেকে থাকে, মানে যারা ভাসমান দোকান করেন, এইটা উচ্ছেদ করার কোনো এখতিয়ার কারো থাকা উচিত নয়। বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাসমান কিছু থাকবে না, ভাসমান কোনো বিক্রেতা থাকবেন না, বাদাম বিক্রি করা যাবে না—আমরা এই ন্যারেটিভ নিই না। এই সংকটের সময় কারো পেটে লাথি দেওয়া মেনে নেওয়া যাবে না।


বুধবার (৫ নভেম্বর) ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘মাদকসহ অন্যান্য যেসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আছে, সেগুলো ঠেকানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আছে, প্রয়োজনে সেখানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী থেকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডাকসুর এই এখতিয়ার নেই। এটা জেনেশুনে ডাকসু তাদের মাঠে ছেড়েছে, শিবির ছেড়েছে।

সুতরাং এই মাস্তানিটা শিবিরের মাস্তানি হিসেবে পড়তে হবে।’

ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘শিবির মূলত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস দেখানোর চেষ্টা করছে। তারা সো কলড ভ্রাহ্মমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটরা যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় এটা-সেটা করে বেড়াচ্ছেন, একজন মানুষ ঘুমাচ্ছে, তার জিনিসপত্র চেক করছেন, এসব নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছেন। এসব ঘটনা তাকে (সর্বমিত্র) সামনে ঠেলে দিয়ে করানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘ঢাবি প্রশাসন একেবারে চুপ হয়ে আছে, এই কারণে প্রশ্ন আসে যে ভিসি আদতে জামায়াত কি না। এই অভিযোগ অনেক দিন থেকে ছিল। তিনি বিরাট একাডেমিক প্রোফাইলের মানুষ হতে পারেন, কিন্তু এই অভিযোগ ছিল। কারণ আমরা দেখছি ডাকসু এবং শিবিরকে থামানোর জন্য কোনো পদক্ষেপ তিনি নিচ্ছেন না। সো, এই ঘটনাগুলো আমাদের সামনে এটাও খুব স্পষ্ট করে।

তিনি আরো বলেন, ‘সরকারের দিক থেকেও এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরি। যদি তারা থামতে না চান, নিজে থেকে তাদের থামানো দরকার। এই মাস্তানি শিবিরকে করতে দেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। তবে একই সঙ্গে আমি মনে করি, জনগণের বা জাতিরও দেখা উচিত, যেখানে শিবির কিছুটা এম্পাওয়ারড হয়েছে সেখানে তার চরিত্র কী হিসেবে দাঁড়াচ্ছে—এটা আমাদের রেজিস্টার করে রাখা দরকার।’

আইকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নভেম্বরের ৪ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এলো ৪৬ কোটি ডলার Nov 05, 2025
img
চ্যাম্পিয়ন দলের ১০ ক্রিকেটার নিয়ে স্কোয়াড ঘোষণা করলো আফগানিস্তান Nov 05, 2025
img
জকসু নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে সাবেক শিক্ষার্থীরা Nov 05, 2025
img
ইসির সামনে তারেকের অনশন, নিয়ে আসা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স Nov 05, 2025
img
কান আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন পূজা সেনগুপ্ত Nov 05, 2025
img
অবসরের প্রশ্নে চমকপ্রদ উত্তর দিলেন রোনালদো Nov 05, 2025
img
বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব আয়ারল্যান্ডের Nov 05, 2025
img
একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: গভর্নর Nov 05, 2025
img
টাইফুন কালমায়েগির তাণ্ডবে ফিলিপাইনের ৯৩ জনের প্রাণহানি Nov 05, 2025
img
বিএনপি প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় সতর্ক থাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের Nov 05, 2025
img
সাংবাদিকদের ওপর হামলা, স্বেচ্ছাসেবক দলের ২ নেতাকে বহিষ্কার Nov 05, 2025
img
মিরসরাইয়ে হবে ড্রোন কারখানা, চীনা কোম্পানির সঙ্গে বেপজার চুক্তি Nov 05, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে মেয়র নির্বাচনে হেরে গেলেন জে ডি ভ্যান্সের সৎভাই কোরি বওম্যান Nov 05, 2025
img
দলীয় কোন্দলে গুলি খেতে না চাইলে এনসিপির রাজনীতি করার আহ্বান হাসনাত আবদুল্লাহর Nov 05, 2025
img
নেপাল ও ভারতের বিপক্ষে ২৭ সদস্যের দল ঘোষণা করলো বাফুফে Nov 05, 2025
img
ভিসা ছাড়াই আরও এক দেশ ভ্রমণের সুযোগ পেলো বাংলাদেশিরা Nov 05, 2025
img
জুলাই যোদ্ধারা মিডিয়া ইকোসিস্টেমে যুক্ত হলে মিডিয়ার গুণগত পরিবর্তন আসবে: তথ্য উপদেষ্টা Nov 05, 2025
img
১১ দিনের সরকারি সফরে সৌদি যাচ্ছেন ধর্ম উপদেষ্টা Nov 05, 2025
img
ওএসডি হলেন চাচাকে বাবা বানানো সেই ইউএনও কামাল Nov 05, 2025
img
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Nov 05, 2025