ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আব্বাসের সঙ্গে পোপ লিওর প্রথম বৈঠক

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে পোপ লিও বৃহস্পতিবার ( ৬ নভেম্বর)  তার প্রথম বৈঠক করেন। ভ্যাটিকান জানিয়েছে, বৈঠকে তারা গাজার বেসামরিক জনগণের সাহায্য করার ‘জরুরি প্রয়োজন’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার প্রায় এক মাস পরে এই সফরটি অনুষ্ঠিত হলো।

আব্বাস হলেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দীর্ঘদিনের প্রধান, যা পশ্চিম তীরের কিছু অংশের ওপর সীমিত নিয়ন্ত্রণ রাখে।

তার ফাতাহ আন্দোলন হামাসের প্রতিদ্বন্দ্বী, যারা ২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল।

আব্বাস ও পোপ লিও জুলাই মাসে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন, কিন্তু বৃহস্পতিবারের বৈঠকটি ছিল তাদের প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ। মে মাসে এই আমেরিকান ধর্মগুরু বিশ্বের ১.৪ বিলিয়ন ক্যাথলিকদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।

ভ্যাটিকান এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আন্তরিক আলোচনা চলাকালীন, গাজার বেসামরিক জনগণকে সহায়তা প্রদানের ও দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে সংঘাতের অবসান ঘটানোর একটি জরুরি প্রয়োজন রয়েছে বলে স্বীকার করা হয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়, এই বৈঠকটি এমন এক সময়ে এলো, যখন হলি সি ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ১০ বছর পূর্ণ করল।

আব্বাস এপ্রিলে প্রয়াত লিওর পূর্বসূরি পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছিলেন।

পোপ ফ্রান্সিস তার পোপত্বের শেষ মাসগুলোতে গাজায় ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে তার বক্তব্যকে আরো কঠোর করেছিলেন, তবে তার উত্তরসূরি এখন পর্যন্ত আরো পরিমিত সুর গ্রহণ করেছেন।

পোপ লিও গাজার প্রতি তার সংহতি প্রকাশ করেছেন এবং ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির নিন্দা করেছেন, তবে বলেছেন যে হলি সি বর্তমানে যা ঘটছে তাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারে না।

আব্বাস বুধবার বিকেলে রোমের সান্তা মারিয়া মাজিয়োর বাসিলিকায় ফ্রান্সিসের সমাধিতে ফুল দেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফিলিস্তিন ও ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য তিনি যা করেছিলেন তা আমি ভুলতে পারি না।’

২০১৪ সালে তৎকালীন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেস এবং আব্বাস পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে ভ্যাটিকানে শান্তির জন্য একটি প্রার্থনায় যোগ দিয়েছিলেন এবং একসঙ্গে একটি জলপাইগাছ রোপণ করেছিলেন।

আব্বাস শুক্রবার ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গেও দেখা করবেন।

টিএম/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভোট দেওয়ার জন্য ৫ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি প্রবাসীর নিবন্ধন Dec 22, 2025
img
অস্ত্রোপচার শেষে পেটে ব্যান্ডেজ নিয়েই শুটিংয়ে ইমরান হাশমি Dec 22, 2025
img
নীলফামারীতে তাপমাত্রা নামল ১৩ ডিগ্রির ঘরে, বাড়ছে শীতের দাপট Dec 22, 2025
img
এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে ভারতীয় হাইকমিশনের শোক প্রকাশ Dec 22, 2025
img
লামিনে ইয়ামালের বিশ্বসেরা হওয়ার পথে ব্যক্তিগত জীবনের টিপস Dec 22, 2025
img
সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ Dec 22, 2025
img
বিএনপির মনোনয়ন ফরম নিলেন আসলামসহ আরও ১৫ জন প্রার্থী Dec 22, 2025
img
বিকেলে ‘ভোটের গাড়ি’র প্রচার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা Dec 22, 2025
img
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বৈঠক Dec 22, 2025
img
১০ হাজার রিজার্ভ সেনার বাড়িতে অস্ত্র রাখার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল Dec 22, 2025
img
ঢাকায় বাড়ছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৬ ডিগ্রির ঘরে Dec 22, 2025
img
ইন্দোনেশিয়ায় বাস উল্টে ১৬ জনের মৃত্যু Dec 22, 2025
img
বাফুফের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন Dec 22, 2025
img
১৫ বছর পর বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র আবারও চালু করছে জাপান Dec 22, 2025
img

বিবিএস-এর জরিপ

৯৫.৪% শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৮৭.৫% স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উন্নত পানির উৎস Dec 22, 2025
img
রিমান্ডে নেয়ার সময় কারাগারের গেটে প্রাণ গেল আ. লীগ নেতার Dec 22, 2025
img
মরুভূমির দেশে তুষারের ছোঁয়া, বিরল দৃশ্য দেখল সৌদি আরব Dec 22, 2025
img
নির্বাচনের আগে যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা Dec 22, 2025
img
২০২৫ কাঁপিয়েছে যেসব বলিউড সিনেমা Dec 22, 2025
img
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩২৩ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড Dec 22, 2025