ঐক্য ও দেশপ্রেমে জাতি সব বাধা অতিক্রম করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ এর জুলাই বিপ্লব শুধু শেখ হাসিনাকে পদচ্যুত করা নয়; বরং আবারও জাতিকে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা ও জনগণের অধিকারের প্রশ্নে নতুনভাবে ভাবতে শিখিয়েছে। ৭ নভেম্বর, জুলাই বিপ্লব প্রমাণ করেছে ঐক্য ও দেশপ্রেমে জাতি সব বাধা অতিক্রম করতে পারে।’
মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) জাতীয়তাবাদী গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে ‘৭ নভেম্বর ৭৫ হতে জুলাই বিপ্লব ২৪’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর সিটি করপোরেশন পাবলিক লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘স্বাধীনতা-পরবর্তী সরকারের রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিভক্তি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে আবির্ভূত হয়। দেশের ক্রান্তিকালে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান দেশের হাল ধরেন। ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন দেশের রাজনৈতিক সংকটের অবসান ঘটিয়ে দেশে স্থিতিশীলতা ও ঐক্যের সূচনা করে। দেশ নতুন দিকনির্দেশনা পায় যেখানে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা ও জনগণের অংশগ্রহণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়।’
পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কে এম ফেরদৌস, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন জামান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন ও বিএনপি নেতা খোরশেদুল আলম।
জাতীয়তাবাদী গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মঈনুদ্দীনের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফ্রিল্যান্স লেখক ও প্রবন্ধকার মো. ইমরান চৌধুরী।
প্রধান আলোচক বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমান যদি ৭ নভেম্বর দেশের নেতৃত্ব গ্রহণ না করতেন বাংলাদেশ এক গভীর বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতো। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় নীতিতে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের সূচনা করেন।
সেমিনারে নির্ধারিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক, চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি খোরশেদুর রহমান, সহসভাপতি শামসুল আনোয়ার, মহিউদ্দিন বাদল, অ্যাডভোকেট এরশাদুর রহমান রিটু, নকিব উদ্দিন ভুইয়া, আশফাক উদ্দিন আহমদ, কে এম সেলিম, নুরুল আজাদ, জসিম উদ্দিন মামুন, সজ্ঞয় আচার্য, মোহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ।
কেএন/এসএন