আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন শহীদ চলচ্চিত্রকার ও সাহিত্যিক জহির রায়হানের ছেলে তপু রায়হান। রবিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দেন তপু রায়হান।
এ সময় নিজের নির্বাচনী ইশতেহারকে ‘ঐকমত্যের ইশতেহার’ অভিহিত করে তপু রায়হান বলেন, কোনো প্রথাগত রাজনীতি করতে আসেননি, বরং সহযোগিতার রাজনীতি চালু করতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তপু রায়হান বলেন, আমার বাবাকে আপনারা জানেন।
জহির রায়হান প্রবলভাবেই রাজনীতিসচেতন মানুষ ছিলেন। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন না। তার রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রতিফলিত হয়েছে তার লেখায়, তার চলচ্চিত্রে। একটি মানবতাবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন বাবার ছিল, আমি তা ধারণ করি।
আমার মনে হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠ না হয়েও মানবকল্যাণমুখী রাজনীতি করা সম্ভব এবং তা সংসদীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমেই। নির্বাচিত হয়ে সংসদে যেতে পারলে সহযোগিতামূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিনির্মাণে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন জানিয়ে তপু রায়হান বলেন, এই প্রতিশ্রুতি প্রত্যেক সম্মানিত প্রার্থীকে দেব।
আমি জয়ী হই কিংবা হেরে যাই, নির্বাচনের পর ঢাকা ১৭ আসনে যিনিই এমপি হন, আমি এলাকার উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানে তার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করব। নির্বাচনে জয়ই আমার একমাত্র লক্ষ্য নয়, বরং মানুষের সঙ্গে সংযোগ, তাদের সমস্যা বোঝা এবং সবার অংশগ্রহণে এলাকার উন্নয়নে এমন একটি মডেল নির্মাণ করা, যা সারা দেশের সমাজ কাঠামোর সংস্কার ও উন্নয়নে অনুসরণ করা যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট, শাহজাদপুর, ভাষানটেক ও মহাখালী এলাকার সমস্যাগুলো আমি জানি। কোথায়, কোন খাতে, কোন ধরনের উন্নয়ন এবং সংস্কার প্রয়োজন সে সম্পর্কেও আমার পরিস্কার ধারণা আছে। কিছু সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে আমি অনেকদিন থেকেই কাজ করে এসেছি। আমি দেখেছি, সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলো মোটামুটি একই রকম। বিশেষ করে নিম্ন-আয়ের মানুষদের সমস্যা সঠিকভাবে চিহ্নিত করা ও তার সমাধানের পথগুলো ঠিক করতে পারলে তা সারা দেশের জন্যই হয়ত একটা কার্যকর মডেল হিসেবে কাজ করতে পারে।
এসএস/টিকে