আসামের মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেল বহুবিবাহ প্রতিরোধ বিল। এই বিলের মাধ্যমে বহুবিবাহ করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বহুবিবাহের কারণে যেসব নারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রোববার রাজ্যটির মন্ত্রিসভা বিলটির খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে।
চলতি মাসের ২৫ তারিখ এই বিল পেশ হবে বিধানসভায়। আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করা এই বিল হিমন্ত বিশ্বশর্মা সরকারের জন্য একটি মাইলস্টোন হতে চলেছে, এমনটাই জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, বিলটি পাস হলে বহুবিবাহকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই বিল পাস হওয়ার পর আসামে কেউ দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার বিয়ে করলে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে। এ আইনে গ্রেফতার হলে সঙ্গে সঙ্গে জামিন পাওয়ার সুযোগও থাকবে না।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বিলটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে— বহুবিবাহের শিকার নারীদের আর্থিক সহায়তার জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করা। তিনি ব্যাখ্যা করেন, দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে স্বামী জেলে গেলে ভুক্তভোগী নারীর কী হবে? অনেক সময় দেখা যায়, দ্বিতীয় বিয়ের পর প্রথম স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। আমাদের লক্ষ্য— কোনো নারী যাতে আর্থিক বা সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন। তাই ক্ষতিপূরণের জন্য আলাদা তহবিল গঠন করা হবে।
তবে প্রস্তাবিত নতুন এই আইনের আওতার বাইরে থাকবেন উপজাতি জনগোষ্ঠী। আসাম সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উপজাতিদের নিজস্ব সামাজিক প্রথা ও আইন অনুসারে ষষ্ঠ তফশিলভুক্ত এলাকা, বিটিসি, কার্বিআংলং ও ডিমা হাসাও জেলায় এ আইন কার্যকর হবে না।
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালে আসামে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই বিল আইনে পরিণত হলে হিমন্ত বাড়তি সুবিধা পাবেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ইউটি/টিএ