চলতি বছর যে পরিমাণ বাংলাদেশিকে হজ করার সুযোগ দিয়েছিল সৌদি আরব, এবার তার চেয়ে ৪৮ হাজারের বেশি কমানো হয়েছে। আগামী বছর ৭৮ হাজার ৫০০ জন বাংলাদেশির হজ করার সুযোগ রেখে চুক্তি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০২৬ সালের হজ চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনকে হজ করার সুযোগ দিয়েছিল সৌদি আরব।
তবে হজে যেতে ৮৭ হাজার ১০০ জন নিবন্ধন করেছিলেন।
সে হিসেবে আগামী বছরের হজ চুক্তিতে চলতি বছরের চেয়ে ৪৮ হাজার ৬৯৮ জন কমানো হয়েছে।
খরচা বেড়ে যাওয়ায় ২০২৪ সালেও প্রায় ৩৩ শতাংশ কোটা পূরণ হয়নি, হজে গিয়েছিলেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৬ মে হজ হবে।
সৌদি সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুসারে ১২ অক্টোবর হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই সময় বাড়ানো হয়েছে চার দিন।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা হজে যেতে আগ্রহী, তাদের জন্য তিনটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
এর মধ্যে খাওয়া ও কোরবানিসহ বিশেষ হজ প্যাকেজের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
আর, সাধারণ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে ব্যয় হবে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং সাশ্রয়ী হজ প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা।
আর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের জন্য দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।
এর মধ্যে প্যাকেজ–১ এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৯৭ টাকা।
আর হজ প্যাকেজ-২ এ ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮১ টাকা ও হজ প্যাকেজ-৩ এ ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৭ টাকা খরচ ধরা হয়েছে।
এ ছাড়া ‘বেসরকারি মাধ্যমের সাধারণ হজ প্যাকেজ’ শিরোনামে একটি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এই প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৯ হাজার ১৮৫ টাকা।
আগামী বছরের হজ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে সৌদি আরবের জেদ্দায়।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক বিন ফাওজান আল রাবিয়াহ।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, হজ চুক্তি স্বাক্ষরের আগে ধর্ম উপদেষ্টা সামগ্রিক হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি সম্পর্কেও সৌদি মন্ত্রীকে জানান।
এছাড়া, মিনা-আরাফা ও মুজদালিফার তাঁবু ব্যবস্থাপনা, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে সৌদি মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন উপদেষ্টা।
সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, ধর্ম উপদেষ্টা সৌদি হজমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাতে সম্মতি দিয়েছেন সৌদি মন্ত্রী।
হজ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন ধর্ম সচিব মো. কামাল উদ্দিন, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দেলোয়ার হোসেন, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার হাসান মানাখারা, বাংলাদেশে সৌদি রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ বিন জাফর এইচ বিন আবিয়াহ, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আয়াতুল ইসলাম, জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন, যুগ্মসচিব (হজ) মঞ্জুরুল হক, কাউন্সেলর (হজ) মো. কামরুল ইসলাম।
এমকে/এসএন