আওয়ামী লীগ প্রশ্নে সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ আছে: আবু হানিফ

নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে ৮টার দিকে রাজধানীর পল্টন এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগ ১৩ তারিখ কথিত লকডাউন কর্মসূচি দিয়েছে, সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানুষ পুড়িয়ে মারছে, ককটেল মারছে। নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আজকে আকষ্মিক এই বিক্ষোভ মিছিল।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। সেই আওয়ামী লীগ আর ফিরতে পারবে না। ভারত পালিয়ে থেকে কথিত কর্মসূচি দিয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠন আ. লীগ বাস্তবে নয় ফেসবুকে লকডাউন পালন করতে পারে। বাস্তবে এই কর্মসূচি পালন করতে গেলে জনগণ তাদের গণপিটুনি দিবে। পলাতক খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর সময় তার কর্মীদের কথা চিন্তা করে নাই এমনকি কর্মীদেরকে জানাইও নাই তারা যেন নিরাপদে পালায়। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সিনিয়র অনেক নেতা নিরাপদে ৫ আগস্টের আগে পালিয়ে যায় আবার অনেকে ৫ আগস্টের দিন বা পরে নিরাপদে পালিয়ে যায়। তারা কর্মীদের কথা একবারও চিন্তা করে নাই।

তিনি আরও বলেন, পলাতক নেতারা পাচার করা টাকায় বিদেশে রাজকীয় জীবনযাপন করছে পরিবার নিয়ে। আর বিপদে আছে দেশে থাকা নিরীহ কর্মীরা। দেশে থাকা নিরীহ কর্মীদের বলবো বিদেশে নিরাপদে আরাম আয়েশে থাকা নেতাদের উসকানি তে রাস্তায় নেমে নিজে বিপদে পড়বেন না,মনে রাখবেন যারা ফেসবুক কর্মসূচি দিয়ে উসকানি দিচ্ছে তারা কিন্তু বিপদে পড়বে না।

দলের উচ্চতর পরিষদ সদস্য মাহফুজুর রহমান খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভারতে পালিয়েছে, তারা আর বাংলাদেশে আসতে পারবে না৷ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শুধু রায় ঘোষণা করলেই হবে না তার ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছিলো, এতে হাসিনার কয়েকবার ফরাসি হওয়া উচিত।’

বিক্ষোভ মিছিল আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য রবিউল হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ত্বোহা, ছাত্র নেতা বাবু খান প্রমূখ।

টিএম/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পরীমণি ফিরলেন পর্দায়, আটকে থাকা ছবির শুটিং শুরু Dec 28, 2025
img
বাবর ও আফ্রিদিকে বাদ দিয়ে দল ঘোষণা পাকিস্তানের, ফিরলেন শাদাব খান Dec 28, 2025
img
বিপিএল চলাকালেই বাংলাদেশ ছাড়ছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা Dec 28, 2025
img
ইউক্রেনকে ১.৮ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক সহায়তার ঘোষণা কানাডার Dec 28, 2025
img
ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাজেট জাপানে, প্রতিরক্ষায় রেকর্ড ৯ ট্রিলিয়ন ইয়েন বরাদ্দ Dec 28, 2025
img
জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা কেন, ব্যাখ্যা দিলেন এনসিপির আখতার হোসেন Dec 28, 2025
একটি অবহেলিত আমল | ইসলামিক জ্ঞান Dec 28, 2025
img
শীতে কাঁপছে নীলফামারী, তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রিতে Dec 28, 2025
img
পুরোনো জিমেইল পরিবর্তনের সুযোগ দিচ্ছে গুগল Dec 28, 2025
img
এক হাতে ক্যাচ ধরে রাতারাতি কোটিপতি দর্শক Dec 28, 2025
img
রিটার্ন জমার সময় আরও এক মাস বাড়াল এনবিআর Dec 28, 2025
img
মুন্সীগঞ্জে আগুনে ৭ দোকান পুড়ে ছাই Dec 28, 2025
img
টেন্ডুলকার, সাঙ্গাকারা ও লারাদের এলিট ক্লাবে জো রুট Dec 28, 2025
img
পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত, দেখা নেই সূর্যের Dec 28, 2025
img
হাদির স্মরণে রুয়েটে আবাসিক হলের নামকরণের দাবি Dec 28, 2025
img
৪৯ রানে গুটিয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়ল ডেভিড মিলারের দল Dec 28, 2025
img
জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ডা. খালিদুজ্জামান Dec 28, 2025
img
এবার দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে চাইঃ ইফতিখার Dec 28, 2025
img
২৬ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী Dec 28, 2025
img
এবারের ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুনভাবে তৈরি হবে: উপদেষ্টা আদিলুর Dec 28, 2025